shono
Advertisement

স্বপ্নাদেশ পেয়ে ভাইয়ের মুণ্ডচ্ছেদ! থানায় আত্মসমর্পণ অভিযুক্তের

খুনের সময় ব্যবহৃত অস্ত্রের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
Posted: 01:20 PM Mar 02, 2019Updated: 01:20 PM Mar 02, 2019

নন্দন দত্ত, সিউড়ি: নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সাক্ষী থাকল বীরভূমের নলহাটি। জানা গিয়েছে, স্বপ্নাদেশ পেয়েই ছোট ভাইকে নৃশংসভাবে খুন করেছে অভিযুক্ত। ভাইকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত অপর দাদা। সূত্রের খবর, খুনের পর প্রথমে বাড়ি থেকে চম্পট দেয় ওই যুবক। পরে শনিবার সকালে নলহাটি থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করে অভিযুক্ত এনজামান।

Advertisement

[কৌশলে ভোটপ্রচার, ‘মেয়ের বিয়ে’তে গিফ্ট চাইলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি]

বীরভূমের নলহাটি পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের নজরুল পল্লির বাসিন্দা মৃত রোহন বসির ( ১৯ )। দীর্ঘদিন ধরে মা ও তিন দাদার সঙ্গে ওই বাড়িতেই থাকত সে। জানা গিয়েছে, বছর চারেক আগে আত্মহত্যা করে ওই যুবকের মেজো দাদা। এরপর থেকে দোতলার একটি ঘরে থাকতেন মৃতের বড় দাদা ও তাঁর স্ত্রী। পাশের ঘরেই সেজো দাদা এনজামান বসিরের সঙ্গে থাকত রোহন। মৃতের পরিবার সূত্রে খবর, নেশায় বুঁদ হয়ে থাকত রোহন।  শনিবার ভোরে হঠাৎই পাশের ঘর থেকে রোহনের চিৎকার শুনতে পায় তার বড় দাদা ওয়াসিম বসির। পাশের ঘরে গিয়ে সে দেখে ধারাল অস্ত্র দিয়ে রোহনকে কোপাচ্ছে এনজামান। সূত্রের খবর, ধারাল অস্ত্রের আঘাতে রোহনের দেহ থেকে মাথা আলাদা করে দেয় অভিযুক্ত। ডান হাতের কবজি কেটে নেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ। ছোট ভাইকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হন বড় দাদাও।

[ লুটপাটে বাধা দেওয়ায় খুন? স্বর্ণ ব্যবসায়ীর দেহ উদ্ধার ঘিরে ধোঁয়াশা]

এরপর অস্ত্র নিয়েই মা মাধুরী বিবির ঘরের দরজা খোলার চেষ্টা করে অভিযুক্ত এনজামান। ততক্ষণে চেঁচামেচিতে প্রতিবেশীরা তাঁদের বাড়িতে হাজির হয়। সেই সময় অস্ত্র নিয়েই বাড়ি থেকে চম্পট দেয় অভিযুক্ত। জানা গিয়েছে, পালিয়ে একটি কবরস্থানে প্রথমে অস্ত্রগুলি লুকিয়ে রাখে। এরপর একটি মাজারে যায় সে। এরপর সকাল হতেই সোজা নলহাটি থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করে সে। এরপর পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, স্বপ্নাদেশ পেয়েই ভাইকে খুন করেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অভিযুক্তের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অস্ত্র উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement