সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জলটা যে এতটা গড়িয়ে যাবে তা আগে থেকে টের পেলে হয়তো দু’বার ভাবতেন সঞ্জয় (নাম পরিবর্তিত)। কিন্তু বলে না, ভাবিয়া করিও কাজ, করিয়া ভাবিও না! ঠিক এমনটাই ঘটল দিল্লির এক দম্পতির সঙ্গে। একটা রসিকতায় একেবারে জীবনটাই বদলে গেল সঞ্জয় ও নীলার।
সঞ্জয় ও নীলা (নাম পরিবর্তিত)। দিল্লিতে সুখের সংসার। দুজনেই কর্মরত। নীলার কথায়, সঞ্জয় খুবই কেয়ারিং। অফিসে শত কাজের মধ্যেও বউ ঠিকঠাক খাওয়া-দাওয়া করছেন কিনা, তার খোঁজ রাখতেন। এমনকী, সংসারের কাজে বউকে সাহায্যও করতেন সঞ্জয়। সপ্তাহে একদিন তো স্ত্রীকে পুরো বিশ্রাম দিয়ে নিজেই রান্না করতেন সঞ্জয়। সবই ঠিকঠাক চলছিল। কিন্তু হঠাৎ সুখের সংসারে আসল নতুন টুইস্ট।
[আরও পড়ুন: আহত ছেলের দিকে ছুটে আসছে উন্মত্ত ষাঁড়, জীবন বাজি রেখে ঝাঁপিয়ে পড়লেন বাবা, তারপর… ]
সঞ্জয়ের অফিসের এক মহিলার কলিগের সঙ্গে বেড়ে উঠছিল বন্ধুত্ব। সেই মহিলার কাছ থেকে সঞ্জয় জানতে পারে, তিনি আগে ছিলেন পুরুষ, পরে অস্ত্রোপচার করে নারী হয়ে উঠেছেন। সে কথা বাড়িতে এসে স্ত্রী নীলাকে জানান সঞ্জয়। তখনই নীলা রসিকতা করে সঞ্জয়কে বলেন, তুমি মেয়েদের মতোই কেয়ারিং। তুমিও অপারেশন করে মেয়ে হয়ে যাও! স্ত্রীয়ের কথাতেই সঞ্জয় ঠিক করে নিলেন মেয়ে হবেন। শুরু হল খোঁজ নেওয়া। ডাক্তারের সঙ্গে দেখা করে অপারেশনও হল। এরপর থেকেই সঞ্জয় ও নীলার জীবন বইল অন্যখাতে। পাড়া-পড়শি জানতেই পারল না পুরো ঘটনা। নারীরূপের সঞ্জয়কে নীলা বান্ধবী বলেই পরিচয় করাতেন। তবে বিপদ এল, সঞ্জয়ের বাবা-মা হঠাৎ দিল্লিতে ঘুরতে আসায়। ছেলের এরূপ দেখে জ্ঞান হারানোর অবস্থা তাঁদের।
এ পর্যন্ত কিছুটা পরিস্থিতি সামলেও নিয়েছিলেন সঞ্জয় ও নীলা । কিন্তু হঠাৎ বাঁধল গণ্ডগোল। সঞ্জয়ের মা-বাবা পুরো ঘটনার জন্য দায়ী করলেন পুত্রবধূ নীলাকেই। শ্বশুর-শাশুড়ির অভিযোগ শুনে বাপের বাড়ি চলে যান নীলা। শেষমেশ সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে দায়ের করেন বিবাহবিচ্ছেদের মামলা। সুশীলের বাবা-মাও পালটা মামলা দায়ের করেছেন নীলার বিরুদ্ধে।