অভিষেক চৌধুরী, কালনা: নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে হনুমানের ছোট্ট শাবককে রক্ষা করে মানবিকতার নজির গড়লেন চা দোকানি ও স্থানীয় বাসিন্দারা। কালনার (Kalna) পূর্বস্থলীর নতুন বাজার এলাকার ঘটনায় শনিবার সকালে শোরগোল পড়ে গেল। শুধু তাই নয়, ছিন্নভিন্ন রক্তাক্ত হনুমানের বাচ্চাটিকে দুধ খাইয়ে প্রাণে বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টার পরেই তাঁর চিকিৎসা করে বনদপ্তরের হাতে তুলে দেন তাঁরা। আপাতত হনুমান শাবকটির অবস্থা স্থিতিশীল। তবে তাকে চিকিৎসার জন্য বর্ধমানে (Burdwan) পাঠানো হয়েছে বলে বনদপ্তর সূত্রে খবর।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সাড়ে এগারোটা নাগাদ পূর্বস্থলীর (Purbasthaliনতুন বাজার এলাকায় একটি কুকুর (Stray Dog) মুখে করে কিছু একটা নিয়ে ছুটে পালানোর সময় একটা আর্ত চিৎকারের আওয়াজ কানে আসে স্থানীয় চায়ের দোকানদার সুফল দত্তের। এই ঘটনার পরেই তৎপরতার সাথে কুকুরটিকে তাড়া করতেই মুখে থাকা জিনিসটি সে ফেলে দিয়ে পালায়। এরপরেই হনুমানের একটি ছোট্ট বাচ্চাকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। ক্ষত বিক্ষত অবস্থায় তাঁর ছোট্ট শরীরের বিভিন্ন জায়গা থেকে রক্ত বের হওয়া দেখে অনেকের মনেই বেদনা উদ্রেক হয়।
[আরও পড়ুন: সরস্বতী পুজোয় মানবিক উদ্যোগ, ভবঘুরেদের পাশে দাঁড়াল হাওড়ার একদল যুবক]
এই করুণ দৃশ্য দেখার পর বাচ্চাটিকে তৎপরতার সাথে বাঁচানোর চেষ্টা শুরু হয়।সঙ্গেসঙ্গেই গরম দুধ জোগাড় করে গুরুতর জখম হনুমানটিকে খাওয়ানোও হয়।শুধু তাই নয় তাঁর রক্তাক্ত জায়গায় লাগানো হয় ওষুধও। এরপরেই বনদপ্তরকে খবর দিয়ে রক্তাক্ত বাচ্ছাটিকে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তাঁরাই শুশ্রূষা করেন সুস্থ করে তোলেন।
[আরও পড়ুন: ফের বেপরোয়া গাড়ির দৌরাত্ম্য, কাঁকুড়গাছিতে ম্যাটাডোরের চাকায় পিষ্ট মহিলা]
সুফল দত্ত নামের ওই দোকানদার বলেন,“একটি কুকুর মুখে করে কিছু একটা নিয়ে যাওয়ার সময় প্রথমে মনে হয় মুরগির বাচ্চা নিয়ে যাচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে তাড়া করতেই তা ফেলে দেয় কুকুরটি। তারপর দেখা যায়, সেটি হনুমানের শাবক। রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে বাঁচানোর চেষ্টা চালান সকলেই।পরে বনদপ্তরের হাতে তাঁকে তুলে দিই।” কাটোয়া বনাঞ্চল আধিকারিক সুকান্ত ওঝা বলেন,“গুরুতর জখম অবস্থায় একটি হনুমানের বাচ্চাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য বর্ধমানের রমনাবাগানে তাঁকে পাঠানো হয়েছে।”