সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজস্থানে (Rajasthan) এক বৃদ্ধাকে খুন করে তাঁর মাংস খাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল এক যুবকের বিরুদ্ধে। পালি জেলার ওই ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয় যুবককে। পুলিশ জানায়, জলাতঙ্কে আক্রান্ত যুবক। মানসিক ভারসাম্য হারিয়েই ‘নরখাদক’ হয়ে ওঠেন তিনি। দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়। বুধবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
গত শুক্রবার পালির সারাধনা গ্রামে নৃশংস হত্যার ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত হন ২৪ বছরের সুরেন্দ্র ঠাকুর। প্রত্যক্ষদর্শী জানান, সন্ধেবেলা ৬৫ বছরের শান্তা দেবী গবাদি পশুদের ঘরে ফেরাতে বেরিয়েছিলেন। সেই সময় বড়সড় একটি পাথর দিয়ে তাঁকে খুন করেন সুরেন্দ্র। অভিযোগ, এরপর শান্তা দেবীর মৃতদেহ থেকে মাংস খুবলে খায় অভিযুক্ত। তদন্ত নেমে পুলিশ জানতে পারে, সুরেন্দ্রর বাড়ি মুম্বইয়ে। তাঁর পকেটে থাকা বাসের টিকিট থেকে এই বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছিল পুলিশ।
[আরও পড়ুন: মসজিদ কমিটির মামলা খারিজ, জ্ঞানবাপীতে হিন্দু মহিলাদের পুজোর আবেদন গ্রহণযোগ্য, বলল কোর্ট]
আগেই হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, জলাতঙ্কে আক্রান্ত সুরেন্দ্র। কুকুরে কামরানোর পর চিকিৎসা না করাতেই এই পরিস্থিতি। শেষ পর্বে পৌঁছে গিয়েছে রোগ। এই সময় জল দেখলেই আতঙ্কিত হয়ে ওঠেন রোগী। জানা গিয়েছে, হাসপাতালেও বেশ কয়েক জনকে কামড়ে দেন যুবক। শেষ পর্যন্ত মৃত্যু হল ওই যুবকের। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে সুরেন্দ্রর।