সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবশেষে মণিপুরে শান্তি ফেরানোর লক্ষ্যে প্রথম বড় সাফল্য পেল সেরাজ্যের বিজেপি সরকার। জিরিবাম জেলায় বিবাদমান দুই গোষ্ঠী কুকি এবং মেতেইদের মধ্যে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হল। বৃহস্পতিবার মণিপুর পুলিশ, অসম রাইফেলস এবং সিআরপিএফ (CRPF) আধিকারিকদের উপস্থিতিতে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
মণিপুরের জিরিবাম জেলায় বেশ কিছুদিন ধরেই বিবাদমান মেতেই এবং হামর জনজাতির নাগরিকরা। এই হামররা কুকি সংগঠন কুকি চিন জো গোষ্ঠীর অন্তর্গত। দুই পক্ষের সংঘর্ষে গত এক বছরে বহু রক্ত ঝরেছে। অবশেষে মণিপুর (Manipur) সরকারের উদ্যোগে শনিবার দুই পক্ষ শান্তি বৈঠকে বসে। সেই বৈঠকেই শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। দুই পক্ষই অস্ত্র ছেড়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে একে অপরকে সাহায্য করতে সম্মত হয়েছে বলে মণিপুর সরকারের দাবি। মণিপুরের সরকারি সূত্র বলছে, আপাতত এই শান্তিচুক্তি একটি জেলার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও, শান্তি ফেরানোর প্রক্রিয়ায় এটা বড়সড় মাইলফলক হতে পারে।
[আরও পড়ুন: ওয়ানড়ের ধ্বংসস্তূপে আর কেউই জীবিত নেই! দাবি পিনারাই বিজয়নের]
প্রসঙ্গত, গত বছরের মে মাসে মণিপুরে কুকি-মেইতেই সংঘর্ষ শুরুর পরে উত্তর-পূর্বের রাজ্যে ২০০ জনের বেশি প্রাণ হারিয়েছেন। একটা সময় প্রায় ৭০ হাজার মানুষ ঘরছাড়া হয়ে ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন। গত আট মাস ধরে মণিপুরে আজ কার্ফু, কাল গুলিগোলা, পরশু ইন্টারনেট বন্ধ চলছে। এই গত এক বছরে রাজনৈতিক সমাবেশ দেখেনি ইম্ফল বা মণিপুর। যদিও মণিপুর প্রসঙ্গে আশ্চর্যজনক নীরব থেকেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)।
[আরও পড়ুন: পদ্মে নাম লেখালেই রাজ্যসভায় অধীর! গেরুয়া শিবিরের আমন্ত্রণে এবার কি ত্রিপুরাবাসী হবেন?]
তবে তৃতীয়বার নির্বাচিত হয়ে এসে বিরোধীদের চাপে সংসদে মণিপুর ইস্যুতে বিবৃতি দেন মোদি। প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যটিতে শান্তি ফেরানোর জন্য সবরকমভাবে চেষ্টা করছে সরকার। সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনাও চালানো হচ্ছে। তার পরই মণিপুরে প্রথম শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হল।