সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রয়াত দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। তাঁর প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন দেশ ও বিদেশের বহু বিশিষ্টই। এবার মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনওয়ার ইব্রাহিম মনমোহনের মৃত্যুতে শোকবার্তা দেওয়ার পাশাপাশি তুলে ধরলেন নিজেরই অতীতের এক সোনালি মুহূর্তের কথা।
এক্স হ্যান্ডলে তাঁকে লিখতে দেখা যায়, 'ভারতের আর্থিক সংস্কারের রূপকার ছিলেন তিনি।' পাশাপাশি তুলে ধরেছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর মহানুভবতার কথাও। ১৯৯৮ সালে ইব্রাহিমকে মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এখানেই শেষ নয়, দুর্নীতির অভিযোগেও বিদ্ধ হন তিনি। যার জন্য যেতে হয়েছিল জেলেও। আর সেই বিপদের সময় মনমোহন সিং তাঁর পাশে ছিলেন বলেই দাবি মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর। তিনি জানাচ্ছে, সেই সময় তাঁর সন্তানদের স্কলারশিপ দিতে চেয়েছিলেন তিনি। যদিও সেই সময় এই প্রস্তাবে সাড়া দেননি ইব্রাহিম। কেননা তৎকালীন প্রশাসন একে ভালোভাবে নিত না। কিন্তু সেদিন মনমোহনের যে সহমর্মিতার ছোঁয়া তিনি পেয়েছিলেন তা আজও ভোলেননি ইব্রাহিম।
মনমোহন সিং সম্পর্কে বলা হয়, নীরবে কাজ করে যাওয়াই ছিল তাঁর ব্রত। কম কথা বলার মানুষ হলেও মনমোহন নিজের কাজে ও সিদ্ধান্তে ছিলেন স্থিতপ্রজ্ঞ। ২০০৮ সালে ভারত-মার্কিন পরমাণু চুক্তির সময় তাঁর অনমনীয় মনোভাব সবাইকে চমকে দিয়েছিল। সরকার পড়ে যেতে পারে, এমন আশঙ্কার মধ্যেও তিনি ছিলেন অবিচল। তাঁর যা সঠিক বলে মনে হত, সেটার জন্য লড়ে যেতেন। আর সেই মনোভাবই যেন পরিষ্কার হয়ে গেল মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যে।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাতে প্রয়াত হন মনমোহন সিং। আগামিকাল সকাল ৮টায় তাঁর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে কংগ্রেসের সদর দপ্তরে। সাড়ে ৮টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত সাধারণ জনতা ও কংগ্রেস কর্মীরা তাঁকে শ্রদ্ধা জানানোর সুযোগ পাবেন। এরপর সাড়ে ৯টায় শুরু হবে মনমোহন সিংয়ের অন্তিম যাত্রা। কংগ্রেস সদর দপ্তর থেকে শ্মশানের উদ্দেশে পাড়ি দেবে শববাহী শকট।