অর্ণব আইচ: মাওবাদী নেতা সব্যসাচীকে নিজেদের হেফাজতে নিল কলকাতা পুলিশ। সম্প্রতি রাজ্য পুলিশ পুরুলিয়া ও ঝাড়খণ্ডের সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে মাও নেতা সব্যসাচী গোস্বামী ওরফে কিশোরকে গ্রেপ্তার করে।
এর আগে অন্য মাও নেতা প্রবীর মণ্ডল ওরফে ডাক্তার গ্রেপ্তার হয়েছিলেন কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের হাতে। তাঁকে জেরা করে আগেই সব্যসাচীর নাম কলকাতার গোয়েন্দারা জানতে পারেন। প্রবীরের মামলায় সব্যসাচীকে অভিযুক্ত করা হয়। রাজ্য পুলিশ পুরুলিয়া থেকে সব্যসাচী গোস্বামীকে গ্রেপ্তার করার পর পুলিশ হেফাজত এবং জেল হেফাজত হয়। কলকাতার মামলায় বৃহস্পতিবার পুরুলিয়া জেল থেকে সব্যসাচীকে নিয়ে এসে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয়। এই মাওবাদীর বিরুদ্ধে ইউএপিএ (UAPA) ধারা প্রয়োগ হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘নিখোঁজ’ শাহজাহান নিয়ে মোদি-শাহের কাছে নালিশ রাজ্যপালের, কড়া পদক্ষেপের আর্জি]
সরকারি আইনজীবী দীপঙ্কর কুণ্ডু আদালতে আবেদনে জানান, অভিযুক্তর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অভিযোগ রয়েছে। বহুদিন ধরে ওই ব্যক্তির সন্ধান করা হচ্ছিল। অভিযুক্তকে পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এনআইএ সব্যসাচীর মাথার দাম রেখেছিল দশ লাখ টাকা। ইতিমধ্যেই এই মামলায় মুর্শিদাবাদের সুতি থেকে আরও দুই মাওবাদীকে এসটিএফ গ্রেপ্তার করে। তাদের কাছ থেকেও সব্যসাচীর নাম মেলে। পুলিশের অভিযোগ, মাওবাদীরা কলকাতায় অস্ত্রও সরবরাহ করছে।
এছাড়াও অসম ও ঝাড়খণ্ড থেকে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী জেলাগুলি জুড়ে মাও করিডর তৈরির চেষ্টা করছিল অভিযুক্ত মাওবাদীরা। এসটিএফের অভিযোগ, সব্যসাচী নিজেও এই ব্যাপারে জড়িত। এছাড়াও কলকাতায় নতুন করে মাওবাদীরা সংগঠন জোরদার করার চেষ্টা করছে কি না, সেই তথ্য তাকে জেরা করে জানার চেষ্টা হবে বলে জানিয়েছে এসটিএফ।