সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: মাঝরাতে দুর্গাপুরের আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের (ADDA) অফিসে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। খবর পেয়ে দমকলের ৬ টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রাথমিকভাবে আগুন নেভানোর কাজ শুরু হলেও তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। পরে ইঞ্জিনের সংখ্যা বাড়তে বাড়তে ১৩-তে পৌঁছয়। এমনকী আনা হয় হাইড্রলিক ল্যাডার (Hydrolic Ladar)। আগুন খানিকটা নিয়ন্ত্রণে এলেও তা এখনও জ্বলছে বলে খবর। কীভাবে এত বড় আগুন (Fire) লাগল, তা এখনও অজানা। দমকল কর্মীরা এ বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ। প্রচুর নথি নষ্ট হয়েছে বলে প্রাথমিক অনুমান ADDA আধিকারিকদের।
সোমবার রাত ২টো ১০ নাগাদ দুর্গাপুরে ADDA-র কার্যালয়ে শৌচালয়ের কাছে আগুন লাগে। কর্মীরা তা দেখতে পেয়েই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। সঙ্গে সঙ্গে দমকলে খবর দেওয়া হয়। প্রথমে ৬টি ইঞ্জিন পৌঁছে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। কিন্তু আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে থাকায় তা নিয়ন্ত্রণে আনতে অন্ডাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে আনা হয় ল্যাডার। পানাগড়, রানিগঞ্জ থেকেও দমকলের ইঞ্জিন আনতে হয়।
[আরও পড়ুন: পর পর তিন মেয়ে! রাগে স্ত্রী ও সন্তানদের কীটনাশক খাইয়ে খুনের চেষ্টা স্বামীর]
অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছন জেলাশাসক, আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়, মহকুমাশাসক সৌরভ চট্টোপাধ্যায়-সহ সরকারি আধিকারিকরা।আগুন নেভাতে কার্যত যুদ্ধ করতে হয় দমকল কর্মীদের। অভিযোগ উঠেছে, যেখানে আগুন লেগেছে, তার আশেপাশে জলাধার না থাকায় পর্যাপ্ত জল পাওয়া যায়নি। তবে এ বিষয়ে কিছু বলতে চাননি দমকল কর্মীরা। সরকারি আধিকারিকরাও বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে জানান, কীভাবে আগুন লাগল, তা তদন্তসাপেক্ষ। তবে এই অগ্নিকাণ্ডের জেরে প্রচুর গুরুত্বপূর্ণ নথি নষ্ট হয়েছে বলে আশঙ্কা। সকালেও আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসেনি।