সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নির্বাচনের আগেই তিনি ঘোষণা করেছিলেন, গোমাংস খেয়েও তিনি বিজেপিতে (BJP) রয়েছেন। দল ক্ষমতায় এলে কারও খাদ্যাভ্যাসে হস্তক্ষেপ করবে না সরকার। কিন্তু নির্বাচনের পরে দেখা গেল, নিজের কেন্দ্রে মাত্র ২০ শতাংশ ভোট পেয়েছেন তিনি। তৃতীয় স্থানে রয়েছেন মেঘালয়ের বিজেপি প্রধান আর্নেস্ট মাওরি (Ernest Mawri)।
খ্রিস্টান প্রধান রাজ্য মেঘালয়ে (Meghalaya) এককভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল বিজেপি। ভোট টানতে রাজ্যের বিজেপি প্রধান মাওরি বলেছিলেন, “ক্ষমতায় এলে রাজ্যের খ্রিস্টান জনতাকে সুরক্ষা দেবে সরকার। গোমাংস খাওয়ার উপরেও নিষেধাজ্ঞা চাপানো হবে না। আমি নিজেই বিজেপিতে থেকে গোমাংস খাই। অন্য রাজ্যে কি নিয়ম আছে, সেই নিয়ে আমি কিছু বলতে চাই না। মেঘালয়ে কোনও বিধিনিষেধ থাকবে না, কারণ ভারতে এমন কোনও আইন নেই।”
[আরও পড়ুন: ঘুষ নিতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়ল বিজেপি বিধায়কের পুত্র, বাড়ি থেকে উদ্ধার ৬ কোটি টাকা]
এই মন্তব্যের জেরে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে বিজেপি। অহিন্দু জনতার মন পেতে হিন্দুত্ববাদকে কার্যত অস্বীকার করছে বিজেপি, এই অভিযোগ এনেছিলেন উদ্ধব ঠাকরে। তিনি বলেছিলেন, “নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থপূরণের উদ্দেশ্যেই হিন্দুত্বের রঙ পালটে দেয় বিজেপি। কিন্তু অন্য রাজনৈতিক দলগুলি একই কাজ করলে রেগে যায় গেরুয়া শিবির।”
জনতার মন টানার ব্যাপক চেষ্টা সত্ত্বেও মেঘালয়ে একেবারেই আশাপ্রদ ফল করতে পারেনি গেরুয়া শিবির। দলের প্রধান মাত্র ২০ শতাংশ ভোট পেয়ে হেরেছেন। গোটা রাজ্যে মাত্র দুটি আসন জিতেছে গেরুয়া শিবির। তবে সরকারে আবারও স্থান পেতে চলেছে বিজেপি। এনপিপি নেতা কনরাড সাংমাকে সমর্থন দেওয়া কথা জানিয়ে দিয়েছেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব।