ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: উত্তর-পূর্বের বিজেপি জোটের ক্ষমতাসীন রাজ্যে নির্বাচনী লড়াইয়ে নামার পরই আঘাত তৃণমূলের (TMC) উপর। মঙ্গলবার রাতে মেঘালয়ের (Meghalaya) পশ্চিম গারো পাহাড়ের ফুলবাড়ি কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী-সহ কর্মী, সমর্থকদের উপর হামলার অভিযোগ উঠল সরকারের শরিকদল ন্যাশনাল পিপলস পার্টির বিরুদ্ধে। আক্রান্ত ফুলবাড়ির তৃণমূল প্রার্থী এসজি এসমাতুর মোমিনিন। এনপিপি-র (NPP) কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০ টা নাগাদ। পশ্চিম গারো পাহাড়ের ফুলবাড়ি (Phulbari) কেন্দ্রের চারবাতাপাড়ায় এক জনসভার আয়োজন করেছিল তৃণমূল। প্রার্থী এসমাতুর মোমিনিনের প্রচারে সেই সভা ছিল। কিন্তু অভিযোগ, রাতের বেলা দুষ্কৃতীরা সেখানে গিয়ে সভাস্থলে হামলা চালায়। ভাঙচুর করা হয় মঞ্চ। সেসময় তৃণমূলের যে কর্মী, সমর্থকরা চারবাতাপাড়ায় উপস্থিত ছিলেন, তাঁরা রুখে দাঁড়ান। দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। ৫৯ বছরের তৃণমূল কর্মী নজরুল হকের মাথা-মুখ ফেটে রক্ত বেরতে থাকে। তাঁকে তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয় নিকটবর্তী হাসপাতালে।
[আরও পড়ুন: ৭ লক্ষ দিতে না পারায় অপসৃত পদ্মের মণ্ডল সভাপতি, বিস্ফোরক অভিযোগে শীর্ষ নেতৃত্বকে চিঠি]
আক্রান্ত হয়েছেন প্রার্থী এসমাতুর মোমিনিন। রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে ভরতি আরও অনেকেই। তাঁদের প্রত্যেককে দেখভালের দায়িত্ব নিয়েছেন প্রার্থী নিজে। তাঁর স্পষ্ট অভিযোগ, তৃণমূল সেখানে নির্বাচনী লড়াইয়ে নামতেই সজাগ এনপিপি। লড়াইয়ের রাস্তা থেকে তাদের সরিয়ে দেওয়ার উদ্দেশে তৃণমূলের উপর এই হামলা। সভা বানচালের চেষ্টা। এ বিষয়ে অবশ্য এনপিপি-র এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
[আরও পড়ুন: ‘সারেগামাপা’র যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন নিয়ে বিতর্ক, উঠল স্বজনপোষণের অভিযোগ]
প্রসঙ্গত, উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে ধীরে ধীরে সংগঠন শক্তিশালী করেছে বাংলার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। যার জেরে এবারের নির্বাচনী লড়াইয়ে প্রার্থী দিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে মেঘালয়ের দায়িত্ব সামলেছেন। এছাড়া সেখানে প্রচারে নামবেন তৃণমূলের তারকা জনপ্রতিনিধিরাও। কিন্তু এদিন হামলার পর মেঘালয়ে তৃণমূল প্রার্থী, কর্মীদের নিরাপত্তার বিষয়টি মাথাব্যথা বাড়াল নিঃসন্দেহে।