সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অ্যান্টিগা ফিরে গেলেন জামিনে মুক্ত পলাতক হীরে ব্যবসায়ী মেহুল চোকসি (Mehul Choksi)। সম্প্রতি, চিকিৎসার জন্য তাঁকে জামিনে মুক্তি দেয় ডোমিনিকার আদালত।
[আরও পড়ুন: ‘এককভাবে স্থিতাবস্থা বদলাতে চাইলে বরদাস্ত নয়’, চিনা বিদেশমন্ত্রীকে হুঁশিয়ারি জয়শংকরের]
জানা গিয়েছে, বুধবার ডোমিনিকা থেকে অ্যান্টিগা ফেরেন পিএনবি কেলেঙ্কারির অন্যতম অভিযুক্ত মেহুল চোকসি। গত সোমবার জামিনে মুক্তি পেয়েছিলেন তিনি। শারীরিক অবস্থার অবনতির দোহাই দিয়ে আদালতে জামিনের আরজি জানিয়েছিলেন মেহুল। সেই মামলার শুনানি শেষে বিচারক জানিয়েছিলেন যে , আপাতত চিকিৎসার জন্য ক্যারিবিয়ান দেশ অ্যান্টিগা-বারবুডায় যেতে পারবেন তিনি। তবে সুস্থ হয়ে চিকিৎসকের শংসাপত্র নিয়ে তাঁকে ফের ডোমিনিকায় ফিরে আসতে হবে। বর্তমানে ডোমিনিকার আদালতে মেহুল চোকসির প্রত্যর্পণের মামলা চলছে। গত ২৩ মে ক্যারিবিয়ান দেশ অ্যান্টিগা থেকে নিখোঁজ হন মেহুল চোকসি। এই ঘটনায় অপহরণের অভিযোগ করেছিলেন মেহুলের আইনজীবী। তারপরই ২৬ মে ডোমিনিকায় তাঁকে অনুপ্রবেশের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়।
উল্লেখ্য, তিন বছর আগে অর্থাৎ ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে ভারত ছাড়েন চোকসি। তার কয়েকদিনের মধ্যেই এই হীরে ব্যবসায়ীর নামে আর্থিক তছরুপ ও প্রতারণার অভিযোগ সামনে আসে। পরে জানা যায়, অ্যান্টিগার নাগরিকত্ব নিয়ে সেই দ্বীপেই আস্তানা গেড়েছেন মেহুল। সেদিন থেকে এখনও পর্যন্ত চোকসি আর ভারতে পা রাখেননি। কিন্তু সম্প্রতি অ্যান্টিগা থেকে কিউবা যাওয়ার পথে তাঁকে ডোমিনিকায় আটক করা হয়। জেলবন্দি অবস্থায় তাঁর ছবি প্রকাশ্যে চলে আসে। এরপরই চোকসিকে দেশে ফেরাতে উদ্যোগী হয় কেন্দ্রও। এখনও পর্যন্ত তা সম্ভব না হলেও পলাতক ব্যবসায়ীকে দেশে ফেরাতে মরিয়া কেন্দ্র। প্রসঙ্গত, আজও দেশে ফেরানো যায়নি তিন পলাতক শিল্পপতি বিজয় মালিয়া, মেহুল চোকসি ও নীরব মোদিকে (Nirav Modi)। তিনজনের কারণে সরকারি ব্যাংকগুলির ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২২ হাজার ৫০০ কোটি টাকারও বেশি। গত জুন মাসে তিনজনের মোট ৯ হাজার ৩৭১ কোটি টাকা জমা পড়ে ব্যাংকে। এর মাধ্যমে আংশিক ক্ষতিপূরণ হবে ব্যাংকগুলির।