নব্যেন্দু হাজরা: আশঙ্কার মেঘ জমেছিল আকাশে। মেঘ জমেছিল বাংলার মানুষের মনেও। করোনাসুরের পর প্রকৃতিও বিমুখ হবে না তো এবারের পুজোয়। কিন্তু মা দুর্গার (Durga Puja 2020) আশীর্বাদে সপ্তমীর দুপুরে সেই আশঙ্কার কালো মেঘ কেটে গিয়েছে। দিনভর আকাশ মেঘলা থাকলেও দুর্যোগের যে সম্ভাবনার কথা আবহাওয়া দপ্তর শুনিয়েছিল তাও বিদায় নিয়েছে। মহাষ্টমীর সকাল থেকেই আবহাওয়ার উন্নতি। তবে নিম্নচাপের দরুণ এক ধাক্কায় তাপমাত্রা অনেকটাই কমেছে। হালকা হাওয়ায় ভ্যাপসা গরম উধাও হয়েছে।
ওড়িশা উপকূল থেকে বাংলাদেশের দিকে সরে গিয়েছে অতি শক্তিশালী নিম্নচাপ। ফলে রাজ্যজুড়ে কমেছে দুর্যোগের আশঙ্কা। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে শুধুমাত্র উপকূলীয় জেলা ছাড়া রাজ্যের অন্য কোথাও বৃষ্টির আশঙ্কা নেই। সপ্তমীর দিন দুপুরে কোথাও কোথাও হালকা বৃষ্টি হয়েছে। অষ্টমী সকাল থেকে ধীরে ধীরে কেটেছে মেঘ। অষ্টমী থেকে ঝকঝকে শারদীয় সকাল উপভোগ করছেন আমবাঙালি। সপ্তমীতে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছিল আবহাওয়া দপ্তর। মণ্ডপের ক্ষয়ক্ষতির কথা মাথায় রেখে পুজো উদ্যোক্তা থেকে শুরু করে কলকাতা-সহ সাত জেলার প্রশাসনিক কর্তাদের সতর্ক করেছিল নবান্ন। কিন্তু সপ্তমীর বেলা থেকেই আবহাওয়া পরিবর্তনে হাসি ফুটেছে উদ্যোক্তাদের মুখে। যে গুটিকয় দর্শককে রাস্তায় দেখা যাচ্ছে, স্বস্তিতে তাঁরাও। শুক্রবার আলিপুর আবহওয়া দপ্তর জানায়, নিম্নচাপের প্রভাব এ রাজ্যে আর পড়বে না।
[আরও পড়ুন: মহাসপ্তমীতে কিছুটা স্বস্তিতে রাজ্যবাসী, বাংলায় সামান্য নিম্নমুখী করোনা সংক্রমণের গ্রাফ]
সপ্তমীর দুপুরেই পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করে নিম্নচাপটি। সেই সঙ্গে তা শক্তিও হারায়। তার জেরে উপকূল লাগোয়া এলাকায় বৃষ্টি হলেও, কলকাতায় তেমন প্রভাব পড়েনি। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া নিম্নচাপটি প্রথমে অন্ধ্রপ্রদেশ এবং ওড়িশা অভিমুখে ছিল। তার জেরে গত বৃহস্পতিবার ষষ্ঠীর দিন সকাল থেকেই ঝিরঝিরে বৃষ্টি শুরু হয়েছিল। সপ্তমীতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা ছিল পূর্ব মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, নদিয়া জেলায়। কিন্তু তেমন কিছুই হয়নি।