নব্যেন্দু হাজরা: একটানা বৃষ্টির জের। ক্রমশ অবস্থার অবনতি উত্তরবঙ্গের। ফুঁসছে একাধিক নদী। ইতিমধ্যেই বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে তিস্তা। তিস্তা নদীর অসংরক্ষিত এলাকায় জারি হলুদ সংকেত। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তরের তরফে কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়িতে সতর্কতামূলক ‘কমলা সংকেত’ জারি হয়েছে।
আগামী চার-পাঁচ দিন উত্তরবঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সর্তকতা। সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হবে জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে। বাকি সব জেলাতেই হালকা মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তরের তরফে কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি জেলায় সতর্কতামূলক ‘কমলা সংকেত’ জারি হয়েছে। টানা বর্ষণের জেরে উত্তরের ৫ জেলায় বিপর্যয়ের শঙ্কা বাড়ছে। ভুটান সংলগ্ন জয়গাঁ-১ এলাকায় এক ব্যক্তি ফুঁসে ওঠা তোর্সা নদীতে ভেসে নিখোঁজ হয়েছেন। নাম হাফিজুল আলি (৪৭)। একই গ্রামে হাসিমারার ঝোরায় তলিয়ে গিয়েছে চারটি বাড়ি। বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে আরও ছ’টি বাড়ি। সেখানকার বাসিন্দাদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: নিয়ম মেনে কতজন নেতা আসছেন? তথ্যের খোঁজে প্রথমবার তৃণমূল ভবনে হাজিরা খাতা]
এদিকে, সেচ দপ্তরের তরফে দোমোহানি থেকে বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত তিস্তা নদীর অসংরক্ষিত এলাকায় হলুদ সংকেত জারি করা হয়। জলঢাকার জলস্তর বৃদ্ধিতে হলুদ সংকেত জারি করা হয়েছে। জল বাড়ছে রায়ডাক, ডায়না, সংকোশ নদীতে। মঙ্গলবার রাতে সিকিমের রংপো এলাকায় ধস নামে। তার ফলে শিলিগুড়ির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। বুধবার সকালে ধস সরিয়ে যোগাযোগ স্বাভাবিক করা হয়। ভরা বর্ষায় উদ্বেগজনক পরিস্থিতি বুঝে পাহাড়ে বেড়াতে যাওয়া পর্যটকদের সমতলে নামিয়ে আনতে তৎপর ট্যুর অপারেটর সংস্থাগুলি।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা প্রবেশের অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গে বর্ষারানি পা রাখতে পারে। আপাতত প্রাক-বর্ষার বৃষ্টিতে দক্ষিণবঙ্গ ভেজার সম্ভাবনা। আগামী এক-দু’ঘণ্টার মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদ ও পশ্চিম বর্ধমানে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির জেরে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি কিছুটা কমবে। বৃহস্পতিবার সকালে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বুধবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে জলীয় বাষ্পের সর্বোচ্চ পরিমাণ ৪৪ শতাংশ।