রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: পক্ষীপ্রেমীদের জন্য দুঃসংবাদ। শীতের মরশুমে দিঘা বেড়াতে গেলেও আর দেখা মিলবে পরিযায়ী পাখিদের। কারণ, মেরিনড্রাইভ লাগোয়া ঝাউগেড়িয়া এলাকার যে ঝিলে পরিযায়ী পাখিরা ভিড় জমাত, সেটি শুকিয়ে খননের কাজ শুরু হয়েছে। এতে স্বাভাবিকভাবেই ক্ষুব্ধ পর্যটকরা।
দিঘা মেরিনড্রাইভের পাশে ঝাউগেড়িয়া মৌজায় মৎস্য দপ্তরের ১৯ একর জায়গার উপর ঝিল রয়েছে। ওই ঝিলে মাছ চাষ করে এসএফডিসি। সেই ঝিলেই প্রতি শীতে হাজার হাজার পরিযায়ী পাখি ভিড় জমাত। যা দেখতে ভিড় করতেন পর্যটকেরা। কিন্তু এসএফডিসি এবার মজে যাওয়া ঝিলটি খনন কাজ করে ফের মাছ চাষ করতে শুরু করবে। তাই জল শুকোতে হয়েছে। যার ফলে সমস্যায় পড়েছে শীতের অতিথিরা। এদিকে পরিযায়ী পাখি দর্শনের জন্যে বনদপ্তর ওই এলাকাকে “বার্ড ভিউ পয়েন্ট” নামকরণ করে পরিযায়ী পাখিদের নিরাপত্তায় একাধিক ব্যানার, পোষ্টার লাগিয়েছে। তাছাড়া পরাযায়ী পাখি কোলাহল দেখার জন্যে মেরিন ড্রাইভের উপর কংক্রিটের চেয়ার বসিয়েছে দিঘা শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদ। তার পরও শীতের মরশুমের আগে জল শুকিয়ে দেওয়া নিয়ে প্রশাসনের একাংশ চরম ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন।
[আরও পড়ুন: সাড়ে চার হাজার বছর আগে মহিলার খুলিতে সফল অস্ত্রোপচার! গবেষকদের দাবিতে চাঞ্চল্য]
এ বিষয়ে এসএফডিসির দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক বলাই করণ বলেন, ১৯ একর ঝিলে মাছ চাষ করা হয়। এবার সেটি খনন করার কাজ শুরু হয়েছে। ফলে জল শুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাই এবার আর পরিযায়ী পাখি আসবে না। জেলা বনবিভাগের আধিকারিক অনুপম খান বলেন, “গতবছর থেকে পর্যটকদের কথা ভেবে পরিযায়ী পাখি দেখার ব্যবস্থা ও তাঁদের পরিচয় করানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে যে ঝিল গুলোতে পরিযায়ী পাখি এসে বসত, সেই ঝিলগুলো এবার শুকিয়ে দিয়েছে মৎস্যদপ্তর। একবার আলোচনার করার প্রয়োজনও মনে করেনি। তাই এবার আর পরিযায়ী পাখিরা আসবে না। পর্যটকেরা এবার আর পরিযায়ী দর্শন করতে পারবেন না।”