সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর জি কর কাণ্ডে বিচার চেয়ে সরব হয়েছিলেন। তাতেই কুরুচিকর মন্তব্যের শিকার মিমি চক্রবর্তী। সোশাল মিডিয়ায় প্রকাশ্যেই ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয়েছে অভিনেত্রী তথা প্রাক্তন সাংসদকে। নারী নিরাপত্তা, সমাজে নারীদের অবস্থান, স্বাধীনতা নিয়ে যখন একুশ শতকের পৃথিবীতেও লড়তে হচ্ছে, রাত দখল অভিযানে নেমেছেন শত সহস্র নারীরা, তখন সেই আবহেই মিমিকে ধর্ষণের হুমকি প্রকাশ্যে। অভিনেত্রী সেই সমস্ত স্ক্রিনশট সহযোগে অভিযোগ জানিয়েছিলেন কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগে। এবার পুলিশি পদক্ষেপের কথা জানালেন মিমি চক্রবর্তী (Mimi Chakraborty)।
মিমি অভিযোগ দায়ের করার পরই এই বিষয়ে মাঠে নেমে পড়ে কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগ। অভিনেত্রী তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে জানিয়েছেন, "সাইবার ক্রাইম বিভাগের সাহায্যে ধর্ষণের হুমকিতে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। যে সমস্ত অ্যাকাউন্টগুলো থেকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল, সেগুলোকে নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হয়েছে চিরতরের জন্য। পুলিশ চেষ্টা করছে, ওই দু' জন প্রধান অভিযুক্তকে খুঁজে বার করতে। কারণ ওরা আপাতত ধর্ষণের হুমকি দেওয়া সব কমেন্টগুলো মুছে গা ঢাকা দিয়েছে।"
এর আগে এক ভিডিও শেয়ার করে কড়া জবাব দিয়েছিলেন অপরাধকাম ‘পুরুষতান্ত্রিক’ সমাজের উদ্দেশে। যেখানে তিনি সাফ লিখেছিলেন, “আমাকে নিয়ে অশ্লীল মন্তব্য করে বা হুমকি দিয়ে দমিয়ে রাখা যাবে না। আমি জন্মগত নির্ভীক। প্রতিটা মেয়েই তাই। আমাদের লড়াই সেইসমস্ত মানুষগুলোর বিরুদ্ধে যাঁরা আমাদের, মেয়েদের বিরুদ্ধে কথা বলে। যারা নিজেদের আমাদের থেকে শক্তিশালী লিঙ্গের মানুষ বলে ভাবে। নির্লজ্জ। ওদের লজ্জা হওয়া উচিত। ওদের অস্তিত্ব, এমন লালনপালনের জন্যেও লজ্জা হওয়া উচিত।”
[আরও পড়ুন: ‘নবান্ন অভিযানের ডাকে রাজনৈতিক ফায়দা’, বিতর্ক বাড়তেই পালটা মোক্ষম জবাব স্বস্তিকার]
ঠিক কী ঘটেছে? আর জি কর কাণ্ডের পর নির্যাতিতার পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রস্তাব রেখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু মৃতার পরিবার সেই টাকা নিতে অস্বীকার করেন। সেই প্রসঙ্গ তুলেই এক্স হ্যান্ডেলে মিমি চক্রবর্তীকে ধর্ষণের হুমকি দেয় জনৈক নেটিজেন। হুমকি পোস্টে লেখা, “আজ এই কাণ্ড যদি মিমির সঙ্গে ঘটত তাহলে কী করত? মিমির পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা দেওয়া হত নাকি? তাহলে মিমিকে আমার ঘরে পাঠিয়ে দিলে আমি ওঁর পরিবারকে ১০ লাখ টাকা দিয়ে দেব।” “রেপটা মিমির সাথে হলে খুব ভালো হোতো”, এমন কথাও লেখা হয় এক্স হ্যান্ডেলের এক পোস্টে। সেসব স্ক্রিনশট নিয়েই সাইবার সেলে অভিযোগ জানিয়েছেন মিমি। অভিনেত্রীর পাশে দাঁড়িয়েছেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়ও। কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইম আপাতত এই বিষয়ে তদন্ত করছে।