সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তোলপাড় রাজ রাজনীতি। তারকারাও এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন। এবার গর্জে উঠলেন মিমি চক্রবর্তী। 'X' হ্যান্ডেলের পোস্টের মাধ্যমে কড়া শাস্তির দাবি জানালেন অভিনেত্রী তথা প্রাক্তন সাংসদ।
ছবি : ইনস্টাগ্রাম
বিষয়টি নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে নিজের ভেরিফায়েড 'X' হ্যান্ডেলে 'আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ' হ্যাশট্যাগ দিয়ে মিমি লিখেছেন, "এমন শাস্তি হওয়া উচিত যাতে পরের বার এই ধরনের জঘন্য অপরাধের কথা ভাবলে শিরদাঁড়া পর্যন্ত কেঁপে ওঠে। কারও মেয়ের মৃত্যু হয়েছে, কারও স্বপ্ন, কারও পরিবারের অপূরণীয় ক্ষতি। এর কোনও ক্ষমা নেই বলেই আমার মত। তোমার সঙ্গে আছি।"
[আরও পড়ুন: পাহাড়-বালির মাঝে দেব-রুক্মিণী, কোথায় গিয়েছেন তারকা যুগল?]
কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়, সৃজিত মুখোপাধ্যায়, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, শ্রীলেখা মিত্ররাও এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। দোষীর কড়া শাস্তির আর্জি জানানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, তরুণী চিকিৎসকের নৃশংস প্রাণহানিকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিন ধরেই উত্তাল বাংলা। রাজ্যের অন্যান্য মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসকরা কর্মবিরতিতে। যার জেরে প্রবল সমস্যায় পড়তে হচ্ছে রোগীদের। আর জি কর হাসপাতালের সুপারকে (MSVP) ইতিমধ্যেই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে।
এই গ্রেপ্তারির পর সঞ্জয়ের নানা কীর্তি শোনা যাচ্ছে। খবর অনুযায়ী, একটা-দুটো নয়, পাঁচটা বিয়ে করেছিল সঞ্জয়। বিয়ে করাটা নেশার মতো হয়ে গিয়েছিল তার। প্রতিবেশীরা জানান, প্রথমে বেহালার এক তরুণীকে বিয়ে করে সে। এর পর পার্কসার্কাস, বারাকপুর, আলিপুরের আরও তিন তরুণীকে সে বিয়ে করে। কিন্তু প্রত্যেক বিয়ের পরই বাড়ির ভিতর থেকে চেঁচামেচির শব্দ আসত। জানা গিয়েছে, স্ত্রীদের উপর অত্যাচার চালাত সঞ্জয়। এর পর ছাড়াছাড়ি হয়ে যেত। গত ডিসেম্বরে বিয়ে করে শান্তিকে। কিন্তু জানত না যে, পঞ্চম স্ত্রী ক্যান্সারে ভুগছেন। বিয়ের দু’মাস পরই গত ফেব্রুয়ারিতে শান্তির মৃত্যু হয়। এর পর থেকে আর বাড়িতে রাত কাটাত না সে। প্রভাব খাটিয়ে থাকত চতুর্থ ব্যাটালিয়নের ব্যারাকে।