সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর জি কর কাণ্ডে বিচার চেয়ে সরব হয়েছিলেন। তাতেই কুরুচিকর মন্তব্যের শিকার মিমি চক্রবর্তী (Mimi Chakraborty)। সোশাল মিডিয়ায় প্রকাশ্যেই ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয়েছে অভিনেত্রী তথা প্রাক্তন সাংসদকে। নারী নিরাপত্তা, সমাজে নারীদের অবস্থান, স্বাধীনতা নিয়ে যখন একুশ শতকের পৃথিবীতেও লড়তে হচ্ছে, রাত দখল অভিযানে নেমেছেন শত সহস্র নারীরা, তখন সেই আবহেই সোশাল মিডিয়ায় মিমিকে প্রকাশ্যে ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয়। শুধু কি অভিনেত্রীরাই এহেন অশালীন মন্তব্য, হুমকির শিকার? আজ্ঞে না! অন্য অনেক মেয়েদেরকেই নেটপাড়ায় এহেন অনভিপ্রেত ঘটনার শিকার হতে হয়।
সোশ্যাল মিডিয়ায় মেয়েদের প্রায়ই কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়। বিষয়টা খানিক যেন জলভাতের মতোই হয়ে দাঁড়িয়েছে! স্কার্টের ঝুল মাপা, ব্লাউজের গভীরতা মাপা থেকে শুরু করে শাড়ি আঁচল সরে গিয়ে কেন নাভির অংশ বেরলো?… বক্ষ বিভাজিকা উঁকি দিল?… নেটজনতাদের আতস কাচ যেন তৈরিই থাকে সবসময়ে! আর তার প্রভাবও স্পষ্ট পরিলক্ষিত হয় ছবির কমেন্ট বক্সে। একের পর এক অশালীন, কদর্য মন্তব্য উপচে পড়ে! কেউ প্রতিবাদ করে আবার কেউ বা এড়িয়ে যায়। কিন্তু তাতে কি আদৌ সমস্যার সমাধান হবে? আর প্রোফাইল ব্লক, রিপোর্ট করেই বা কতদিন চলবে! 'ভার্বাল রেপ'-এর মুখেও পড়তে হয় নারীদের। সাইবার বুলিংয়ের ঘটনা আকছার ঘটছে। এবার সেই প্রেক্ষিতেই সমাজের সর্বস্তরের নারীদের উদ্দেশে প্রতিবাদের ডাক দিলেন মিমি চক্রবর্তী।
ছবি : ইনস্টাগ্রাম
সংবাদ মাধ্যমকে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, তাঁর মতো এই ধরণের পরিস্থিতির সম্মুখীন যাঁরা তাঁরাও যেন এগিয়ে আসেন। সকলে এক কণ্ঠে, এক লড়াই লড়বেন। উল্লেখ্য, ধর্ষণের হুমকির স্ক্রিনশট সহযোগে মিমি অভিযোগ জানিয়েছিলেন কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগে। মিমি অভিযোগ দায়ের করার পরই এই বিষয়ে মাঠে নেমে পড়ে কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগ। এপ্রসঙ্গে অভিনেত্রী এক্স হ্যান্ডেলে বৃহস্পতিবার জানান, "যে সমস্ত অ্যাকাউন্টগুলো থেকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল, সেগুলোকে নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হয়েছে চিরতরের জন্য। পুলিশ চেষ্টা করছে, ওই দু জন প্রধান অভিযুক্তকে খুঁজে বার করতে। কারণ ওরা আপাতত ধর্ষণের হুমকি দেওয়া সব কমেন্টগুলো মুছে গা ঢাকা দিয়েছে।"