সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুধের গ্লাসে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে অচেতন করে যৌন হেনস্তা (Assault) করার অভিযোগ উঠল বিহারের (Bihar) এক হোমের (Shelter home) কর্মীদের বিরুদ্ধে। এক কিশোরী এমন অভিযোগ জানানোর পরে সেখানকার বাসিন্দা আরও চার নাবালিকাও অনেকে জানিয়েছেন এমনই অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হওয়ার অভিযোগ। হোমের সুপারিটেন্ডেন্টের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ঘটনাটি চেপে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন নিগৃহীতাকে।
ঠিক কী হয়েছিল? বুদ্ধগয়ার হোমের ও নিগৃহীতা কিশোরী জানিয়েছে, রাতে ঘুমনোর আগে হোমে সকলকে দুধ খেতে দেওয়া হয়। সেই সময়ই তার দুধের গ্লাসে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেওয়া হয়। সারা রাত ঘুমনোর পরে সকালে উঠে কিশোরী বুঝতে পারে তার সারা শরীরে অসম্ভব ব্যথা। এরপরই তার কাছে পরিষ্কার হয়ে যায়, যৌন হেনস্তার শিকার হয়েছে সে। কিশোরীর অভিযোগের সুরে সুর মিলিয়েছে আরও চার কিশোরী। সকলেরই অভিযোগের তির হোমের কর্মীদের বিরুদ্ধে।
[আরও পড়ুন: মারধর করে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দিতে জোর, যোগীর রাজ্যে ফের নিগৃহীত মুসলিম ব্যক্তি]
ওষুধ খাইয়ে আচ্ছন্ন করে সেই সুযোগে যৌন হেনস্তার এমন গুরুতর অভিযোগে নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। জেলাস্তরের তদন্তকারী দলকে আগামী ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। তদন্তে নেমে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন হোমের সুপারিটেন্ডেন্ট নিগৃহীতার অভিযোগ শোনার পরে তাকে ঘটনাটি কাউকে বলতে মানা করেছিলেন। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
জেলার শিশুরক্ষা কমিটির অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর দিব্যেশকুমার শর্মার অবশ্য দাবি, অভিযোগের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। তাঁর কথায়, ”জেলাশাসক এই বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। কিন্তু এমন কিছু ঘটার সম্ভাবনা কম। ২৪ ঘণ্টাই পুলিশের পাহারা ও সিসিটিভির নজরদারি রয়েছে এখানে। কিন্তু তবুও অভিযোগ ওঠার কারণেই পুরো বিষয়টি বিশদে তদন্ত করে দেখা হবে।”
[আরও পড়ুন: TMC in Tripura: বিজেপির বিক্ষোভ কর্মসূচির মাঝেই আগরতলায় তৃণমূল সাংসদরা, অশান্তির আশঙ্কা]
সেই সঙ্গে তিনি দাবি করেন, ”অভিযোগকারিণী কিশোরী নাওয়াদার বাসিন্দা। কিন্তু বুদ্ধগয়ার হোমে সে থাকত। এটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সত্যিটা শিগগিরি সামনে আসবে।”