শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: টানা ১২ দিনের লড়াই শেষ। মৃত্যু হল ময়নাগুড়ির (Maynaguri) নির্যাতিতা কিশোরীর। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে (North Bengal Medical College and Hospital) ভরতি ছিল নাবালিকা। সোমবার ভোর পাঁচটা নাগাদ সেখানেই তার মৃত্যু হয়েছে। নাবালিকার মৃত্যুর খবর জানিয়েছেন তার বাবা।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ময়নাগুড়ির ধর্মপুর এলাকার ওই নাবালিকাকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ ওঠে স্থানীয় অজয় রায় নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত তার জামাকাপড় ছিঁড়ে গোপনাঙ্গে হাত দেয় বলে অভিযোগ। নাবালিকার চিৎকার শুনে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত। ময়নাগুড়ি থানার দ্বারস্থ হয় নাবালিকার পরিবার। অভিযোগ দায়েরের কয়েকদিনের মধ্যেই আদালত থেকে জামিন পেয়ে যায় অভিযুক্ত।
[আরও পড়ুন: Coronavirus Update: সামান্য বাড়ল করোনা সংক্রমণ, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে আক্রান্ত ৪১ জন ]
এরপরই নির্যাতিতা নাবালিকা আত্মহত্যার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। ২৮ ফেব্রুয়ারির ঘটনার পর থানায় অভিযোগ দায়ের করে নাবালিকার পরিবার। এরই মধ্যে অভিযুক্ত আদালত থেকে জামিন পায়। নাবালিকার বাবার অভিযোগ, গত ১৪ এপ্রিল দুপুরে বাড়িতে একাই ছিল তাঁর মেয়ে। সেই সময় মুখ ঢাকা অবস্থায় দুই যুবক বাড়িতে ঢুকে অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিতে বলে। অভিযোগ প্রত্যাহার না করলে বাড়ির সকলকে খুন করার হুমকি দিয়ে যায় ওই দুষ্কৃতীরা।
এই ঘটনার কথা পরিবারের সকলকে জানায় নাবালিকা। অভিযোগ, তারপরই গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে সে। অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় নাবালিকাকে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসকরা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন চিকিৎসকরা। সেখানেই টানা ১২ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়েও শেষ রক্ষা হয়নি। সোমবার ভোরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে নাবালিকা। ঘটনায় ভেঙে পড়েছে নাবালিকার পরিবার। সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।