রাজর্ষি গঙ্গোপাধ্যায়, চেন্নাই: বক্তার নাম মিচেল স্টার্ক (Mitchell Starc)। আইপিএল ফাইনালে তিন উইকেট নিয়ে নাইটদের তৃতীয় ট্রফি জয়ের মহানায়ক। রবিবার গভীর রাতে চিপকে সাংবাদিক সম্মেলন করতে এসে বাঁ হাতি অস্ট্রেলীয় পেসার যা বলে গেলেন, নিচে তুলে দেওয়া হল।
টসে হেরে বোলিং পাওয়া নিয়ে: আমরা প্রথমে বোলিংই করতে চেয়েছিলাম। শ্রেয়স এ বার খুব বেশি টস জেতেনি। তবে ব্যাট করলেও কিছু আসত-যেত না। কারণ আমরা ভালো খেলছিলাম। ভালো সুইং পাচ্ছিলাম শুরুর দিকে। ভালো বোলিং করেছি আমরা।
শাহরুখ খানের সঙ্গে খেলা শেষে কথাবার্তা: দারুণ কিছু হয়নি। উনি সবাইকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছিলেন। গোটা মরশুমই টিমের সঙ্গে ওতঃপ্রোত ভাবে জড়িয়ে ছিলেন তিনি। আমরা মাঠে আসার আগে টিম হোটেলে শাহরুখ কথা বলেন আমাদের সঙ্গে। আমি নিশ্চিত, আজ রাতে শাহরুখও আমাদের সঙ্গে উৎসব করবেন।
হর্ষিত রানা-বৈভব অরোরার তরুণ পেস-জুটি সম্পর্কে: দু’জনেই দারুণ প্রতিভাবান। আমি পুরো বোলিং গ্রুপটার কথাই বলব। হর্ষিত, বৈভব, চেতনের (সাকারিয়া) অভিজ্ঞতা কম। ওরা যখন যা জানতে চেয়েছে, আমি বলেছি। সাহায্য করেছি। মনে রাখতে হবে, এই মরশুমে ওরা বেশ কিছু কঠিন ওভার করেছে। সানরাইজার্সের বিরুদ্ধে মরশুমের প্রথম ম্যাচে হর্ষিত চাপ সামলে আমাদের জিতিয়ে দিয়েছিল। এখান থেকে শুধুই উত্তরণ হবে হর্ষিতের। শুধুই উন্নতি করবে ও।
[আরও পড়ুন: অরেঞ্জ ক্যাপ বিরাট, টুর্নামেন্টের সেরা নারিন, আইপিএলে আর কে কী জিতলেন?]
বোলিং কোচ ভরত অরুণ প্রসঙ্গে: প্রচুর ক্রিকেট খেলেছি আমি। নিজেকে কী করে ম্যানেজ করতে হয়, আমার জানা। কী জানেন, পুরোটাই ছন্দ পাওয়ার ব্যাপার। তা ছাড়া এবারের আইপিএলের অধিকাংশ ম্যাচেই প্রচুর রান হয়েছে। বোলাররা মারও খেয়েছে প্রচুর। ভরতের সঙ্গে অতীতে কাজ করেছি আমি। ওর সঙ্গে আবার কাজ করতে পেরে ভালো লাগছে।
অভিষেক শর্মাকে করা স্বপ্নের ডেলিভারি: আমি সুইং করাতে চাইছিলাম। দেখুন, গত চোদ্দো বছর ধরে এ জিনিস করে চলেছি আমি। তাই আমার কাছে এ জিনিস নতুন কিছু নয়। বলটা ভালো ছিল। উইকেটটাও। আমার ভাগ্য ভালো যে, পরপর দু’টো ম্যাচে এ রকম দু’খানা বল করতে পারলাম। প্রথম কোয়ালিফায়ারে ট্রাভিস হেড। ফাইনালে অভিষেক শর্মা। তবে আবারও বলছি, এটা স্রেফ আমার কাছে আর একটা উইকেট।
পৌনে পঁচিশ কোটি টাকা পাওয়া নিয়ে লোকজনের প্রাথমিক সমালোচনা: আমি জীবনে প্রচুর সমালোচনা শুনেছি বিভিন্ন সময়ে। এ সমস্ত আমার কাছে নতুন কিছু নয়। আমি জানি, আমার প্রাইস ট্যাগ নিয়ে প্রচুর কথা হয়েছে। তবে আমার সে সবে কিছু আসে-যায় না।
পরের আইপিএল খেলবেন কি না: গত ন’বছর ধরে আমি অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেলাকে প্রাধান্য দিয়েছি। কিন্তু আর কয়েক বছরের মধ্যে আমি আমার কেরিয়ারের শেষ প্রান্তে পৌঁছে যাব। তাই একটা ফর্ম্যাট আমাকে ছাড়তে হবে। সেক্ষেত্রে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট আরও বেশি খেলার দরজা খুলে যাবে আমার সামনে। পরের বছর আইপিএলে (IPL 2024) ফিরে আসতে চাই আমি। সম্ভব হলে কেকেআরে (KKR)। আমাকে যদি রিটেইন করা হয়, দারুণ লাগবে। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত পুরোপুরি টিম ম্যানেজমেন্টের উপর নির্ভর করে। গত ন’টা সপ্তাহ দারুণ উপভোগ করলাম।
আইপিএল খেলার ধকল আসন্ন বিশ্বকাপের উপর পড়বে কি না: না। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অত ধকল থাকে না। থাকে টেস্টে।