সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গোষ্ঠী সংঘর্ষে জ্বলছে মণিপুর। সেই হিংসার আঁচ লেগেছে পাশের রাজ্যগুলিতেও। পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে তা কেউ জানে না। এহেন পরিস্থিতিতে, উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গা। তাঁর প্রশ্ন, কবে থামবে এই হিংসা?
গত দু’মাস ধরে মেতেই ও কুকিদের জাতিদাঙ্গায় উত্তাল হয়ে আছে মণিপুর (Manipur)। উত্তরপূর্বের রাজ্যে হিংসা থামাতে ব্যর্থ কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার। গত দু’মাস ধরে চলতে থাকা এই অশান্তিতে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ১২০ জন মানুষ। আহত ৩ হাজারের উপর। ঘরছাড়া লক্ষাধিক। এতেই চাপ বাড়ছে পাশের রাজ্যগুলিতে। আশ্রয়ের খোঁজে পড়শি রাজ্যে ভিড় করছেন বহু মানুষ। যার মধ্যে মিজোরাম অন্যতম। মণিপুর থেকে মিজোরামে ১২ হাজার ১৬২ জন শরণার্থী পালিয়ে এসেছেন।
[আরও পড়ুন: PUBG খেলতে খেলতেই প্রেম, সীমান্ত পেরিয়ে নয়ডার প্রেমিকের কাছে ছুটে এলেন পাক তরুণী]
শরণার্থীর সংখ্যা বাড়ায় চাপ বাড়ছে সে দেশের সরকারের। এই পরিস্থিতিতে মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গা মঙ্গলবার টুইটে প্রশ্ন করেছেন, “কবে থামবে এই হিংসা?” তিনি আরও বলেন, “গত কয়েক সপ্তাহে মণিপুরের পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। এই দাঙ্গায় প্রাণ হারিয়েছেন বহু মানুষ। জো সম্প্রদায় ও অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের প্রতি আমার সমবেদনা রয়েছে। যারা নিজেদের আপনজনদের হারিয়েছেন, ঘরছাড়া হয়েছেন। ভগবান সকলকে শক্তি দিক।”
প্রসঙ্গত, দু’মাস ধরে চলা গোষ্ঠী সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত একশোরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন মণিপুরে। সাধারণ জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত। এমনকী রাজ্যের একাধিক মন্ত্রীর বাড়িতেও হামলা হয়েছে। বিরোধীরা মণিপুরে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি তুলেছে। সপ্তাহ খানেক আগে মুখ্যমন্ত্রী বিরেন সিং পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলেন। পরে অবশ্য মত বদল করেন। ব্যাপক অশান্তির মধ্যেই সে রাজ্যে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তার পরও পরিস্থিতি পালটায়নি। এই অবস্থায় মণিপুরের হিংসা নিয়ে মামলায় রাজ্যের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি কতটা ভাল বা মন্দ তার বিস্তারিত তথ্য চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।