সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের প্রকাশ্যে পাকিস্তানের (Pakistan) মন্দিরে (Siddhivinayak temple) ভাঙচুরের ঘটনা। পাঞ্জাব প্রদেশের সাদিকাবাদ জেলার ভঙ্গ শরিফ গ্রামের সিদ্ধি বিনায়ক মন্দিরের ভিতরে হামলা চালাল দুষ্কৃতীরা। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার এক সোশ্যাল মিডিয়ার উসকানিমূলক পোস্ট থেকে উত্তেজিত হয়ে লোহার রড, লাঠি, পাথর হাতে দুষ্কৃতীরা দল বেঁধে চড়াও হয় ওই মন্দিরে। শুরু হয় ভাঙচুর।
মন্দির ভাঙচুরের ওই ভিডিও ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। ঘটনার পরেই কড়া পাহারা বসানো হয়েছে মন্দিরে। এই হামলার পিছনে কাদের হাত রয়েছে তা জানতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের উপরে নির্যাতনের অভিযোগ বারবার উঠেছে। এদিনের ঘটনার কথা জানিয়ে টুইট করেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিশেষ সহায়ক ড. শাহবাজ গিল। তিনি ওই ভিডিওটি পোস্ট করে টুইটারে লিখেছেন, ”এটা অত্যন্ত দুঃখজনক ও দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের তরফে এই অনভিপ্রেত ঘটনা সম্পর্কে জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করার ও দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার জন্য। পাক সংবিধান সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় আচারের স্বাধীনতা ও সুরক্ষা দিতে বদ্ধপরিকর।”
[আরও পড়ুন: National Crime Control Bureau’র ডিরেক্টর পরিচয়ে প্রতারণা, গ্রেপ্তার অভিযুক্ত]
তবে তিনি এই দাবি করলেও শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। গত এপ্রিলে ‘সেন্টার ফর ডেমোক্র্যাসি, প্লুরালিজম অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস’-এর এক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, পাক সংবিধানে যতই সব নাগরিকদের সমানাধিকার দেওয়া হোক তা শেষ পর্যন্ত খাতায় কলমেই রয়ে গিয়েছে।
এর আগেও বহুবার পাকিস্তানের নানা মন্দিরে হামলার অভিযোগ উঠেছে। গত মার্চেই পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে একশো বছরের পুরনো এক মন্দিরে ভাঙচুর চালানোর ঘটনায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছিল। এবার ফের সিদ্ধি বিনায়ক মন্দিরের ভাঙচুরের ঘটনা প্রকাশ্যে এল।