নব্যেন্দু হাজরা: রাজ্যের বকেয়ার দাবিতে রেড রোডে টানা ৩০ ঘণ্টা ধরনা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর ধরনা কর্মসূচি মেটার দু’দিনের মধ্যে ‘মিড ডে মিল’ ও ‘সমগ্র শিক্ষা মিশন’ খাতে ১২০০ কোটি টাকার বেশি বরাদ্দ পেল রাজ্য। এই দুই খাতে কেন্দ্রীয় সরকার যে টাকা পাঠায়, তারই দ্বিতীয় কিস্তি পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে মিড ডে মিলের ৬৩৮ কোটি ও সমগ্র শিক্ষা মিশনের ৫৭৬ কোটি টাকা। শনিবার নবান্ন সূত্রে এমনটাই খবর।
তবে ১০০ দিনের প্রকল্প এবং আবাস যোজনায় এখনও রাজ্যের বরাদ্দ অধরা। রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘কেন্দ্র মিড ডে মিলের যে টাকা দিচ্ছে সেটা তো দয়া করছে না৷ এটা রাজ্যের প্রাপ্য টাকা। ভালো কাজ করেছে রাজ্য। বাংলার শত্রু, শকুন টাকা না দেওয়ার তদ্বির করছিল। তাঁরা ভেঙে পড়ছে।’’
মিড ডে মিল খাতে রাজ্যের পাওনা আটকে রেখেছিল কেন্দ্র। বারবার এই অভিযোগ করেছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। তাঁদের দাবি, রাজ্য়ের বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আটকানোর দাবি জানিয়ে কেন্দ্রের দরবার করেছে বঙ্গ বিজেপি। তাঁদের মন রাখতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আটকাচ্ছে কেন্দ্র। এমনকী, বঙ্গ বিজেপির অভিযোগ মেনে রাজ্যে এসেছে কেন্দ্রের একাধিল প্রতিনিধি দল। অন্যান্য প্রকল্প-সহ স্কুলে স্কুলে ঘুরে মিড ডে মিলের মান পরীক্ষা করে গিয়েছেন তাঁরা। এরপরই এই খাতে বকেয়া ৬৩৮ কোটি টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র। এ প্রসঙ্গে বলে রাখা দরকার, মিড ডে মিলের অডিট চলছে। বিভিন্ন প্রকল্প খতিয়ে দেখতে আরও ১০টি দল আসছে রাজ্যে।
[আরও পড়ুন: মার্কিন মুলুকে প্রথমবার, হিন্দুফোবিয়ার বিরোধিতায় প্রস্তাব পাশ জর্জিয়ায়]
রাজ্য়কে বকেয়া মেটানো প্রসঙ্গে তৃণমূলের সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, “রাজ্যের বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ খতিয়ে দেখেও কোনও খুঁত পায়নি কেন্দ্র। তাই টাকা পাঠাতে বাধ্য হল তারা। বঙ্গ বিজেপি যে মিথ্যা অভিয়োগ করছে, তা প্রমাণিত। এর ফল তারা ভোটবাক্সে পাবে।” পালটা দিয়েছেন বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। তাঁর কথায়, এই রাজ্য পুরোটাই কেন্দ্রের অনুদান নির্ভর। রাজ্য রাজস্ব থেকে আয় করতে ব্যর্থ। কেন্দ্রের পাওনা মেটানোর সঙ্গে এর সঙ্গে বঙ্গ বিজেপির মুখ থুবড়ে পরার কোনও সম্পর্ক নেই।”