shono
Advertisement

‘মোদি-ঝড়’আসলে মিথ ছাড়া কিছু নয়! বুঝিয়ে দিচ্ছে দেশের বিধায়ক সংখ্যার পরিসংখ্যান

গোটা দেশে বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা মোটে ১ হাজার ৪২৪ জন।
Posted: 09:05 PM Dec 10, 2022Updated: 09:05 PM Dec 10, 2022

শীর্ষেন্দু চক্রবর্তী: ১৯৯৫-এর পর থেকে পরিবর্তন হয়নি। এবারও গুজরাটে (Gujarat) সরকার গড়েছে বিজেপি। যা নিয়ে বিজেপির দাবি, এসবই দেশে ‘গেরুয়া ঝড়ে’র প্রমাণ। যদিও তথ্য বলছে, বিজেপির এই দাবি আদতে ‘ফুটো ফানুস’ ছাড়া আর কিছুই নয়।

Advertisement

বিষয়টা একটু তলিয়ে দেখা যাক। গোটা দেশে মোট বিধায়কের সংখ্যা এই মুহূর্তে ৪১২৬। এর মধ্যে বিজেপি (BJP) বিধায়ক ১৪২৪ জন। অর্থাৎ, কমবেশি মাত্র ৩৪ শতাংশ। এর পাশাপাশি, এনডিএ (NDA) জোটে থাকা অন্যান্য দলের বিধায়ক মোট ৩৫৩ জন। কংগ্রেস (Congress) বিধায়কের সংখ্যা ৬৫১। তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা ২৩৩। এই ছোট্ট একটা পরিসংখ্যানই প্রমাণ করে দিচ্ছে বিজেপি-ঝড়ের আসল রহস্য।

[আরও পড়ুন: গ্রেপ্তারির ব্যাখ্যা না দিলে আদালতে যাব, মুক্তির পরই গুজরাট প্রশাসনকে হুঁশিয়ারি সাকেতের]

এবার একটু রাজ্যভিত্তিক ছবিটার দিকে নজর দেওয়া যাক। গুজরাট, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, এই ছয়টি রাজ্যের মধ্যে যত দাপাদাপি বিজেপির। বাকি রাজ্যগুলোর দিকে একবার চোখ দেওয়া যাক। অন্ধ্রপ্রদেশে একজনও বিজেপি বিধায়ক নেই। ২৪৩টি বিধানসভা আসনের মধ্যে বিহারে মাত্র ৭৮ জন বিজেপি বিধায়ক রয়েছেন। ঝাড়খণ্ডে (Jharkhand) ৮১ জন বিধায়কের মধ্যে মাত্র ২৬ জন বিজেপির। কেরলে আবার বিজেপি বা এনডিএ’র (NDA) নামগন্ধটুকুও নেই। রাজস্থানে বিজেপি বিধায়কের সংখ্যা মাত্র ৭১। শেষে একবার বাংলার দিকেও চোখ বোলানো যাক। বাংলায় মাত্র ৭১টি আসন পেয়েছে বিজেপি। তেলেঙ্গানা, নাগাল্যান্ড, জম্মু-কাশ্মীরের কথা না হয় বাদই দেওয়া গেল। ওই ছয় রাজ্যের আরও একটা পরিসংখ্যান দেখা যাক। কর্ণাটকে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় রয়েছে। ২২৪টি আসনের মধ্যে সেই কর্ণাটকে কিন্তু বিজেপি বিধায়কদের সংখ্যা ১১৯। আবার যে মহারাষ্ট্র নিয়ে বিজেপি নেতারা বড় বড় কথা বলেন, সেখানে তাদের মোট বিধায়ক মাত্র ১০৬ জন। মধ্যপ্রদেশে ১৫০-এর অনেক কম আসন বিজেপির হাতে। মূলত গুজরাট এবং উত্তরপ্রদেশ নিয়েই যত হম্বিতম্বি গেরুয়া নেতাদের।

[আরও পড়ুন: বাগদানের দিন প্রায় ১০০ জন মিলে তরুণী চিকিৎসককে অপহরণ! বাড়ি ভাঙচুর, ভিডিও ভাইরাল]

বিজেপি বিধায়কদের এই পরিসংখ্যান দেখে তৃণমূল বলছে, দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করতেই ‘ঝড়-ঝড়’ করে আওয়াজ তোলার চেষ্টা করছে গেরুয়া শিবির। তৃণমূলের রাজ্যসভার মুখ্যসচেতক সুখেন্দুশেখর রায় এ প্রসঙ্গে বলেন, বিজেপি অনৈতিক কাজের মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্রের সমাধিক্ষেত্র তৈরি করছে। কয়েকটি রাজ্যে বিজেপি ভোটে জিতেছে। অনেক রাজ্যে তারা টাকা দিয়ে, অনৈতিকভাবে সরকার গঠন করেছে। দুর্ভাগ্য, পুরো বিষয়টা দেখেও চুপ করে রয়েছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। তৃণমূল সাংসদ বিজেপির ‘ঝড়ে’র দাবি উড়িয়ে বলেন, “অনেক ক্ষেত্রেই আমরা দেখতে পেয়েছি গণতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতায় আসা সরকারকে অনৈতিকভাবে ক্ষমতাচ্যুত করেছে বিজেপি। যা সুষ্ঠু গণতন্ত্রের ক্ষেত্রে ভয়ংকর বার্তা বয়ে আনছে।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement