shono
Advertisement

তৃণমূল ব্লক সভাপতি পদের দাম ৩০ লক্ষ! অডিও ভাইরাল হতেই কাঠগড়ায় বিধায়ক

বিধায়কের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক প্রাক্তন ব্লক যুব তৃণমূল সভাপতিও।
Posted: 08:15 PM Aug 24, 2022Updated: 08:45 PM Aug 24, 2022

চন্দ্রজিৎ মজুমদার, কান্দি: ৩০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে বিজেপির নির্বাচনী এজেন্ট বড়ঞায় তৃণমূলের (TMC) ব্লক সভাপতি হয়েছেন বলে অভিযোগ। ১০ লক্ষ টাকায় নাকি বিক্রি হয়েছে ব্লক যুব তৃণমূলের সভাপতির পদ। এমন অভিযোগে তোলপাড় মুর্শিদাবাদের রাজনৈতিক মহল। পদ বিক্রির অভিযোগে কাঠগড়ায় তৃণমূল বিধায়ক। ভাইরাল হয়েছে বিধায়ক ও তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতির কথোপকথনের অডিও। ফেসবুকে ছড়িয়েছে দলীয় বিধায়কের স্বাক্ষরিত এক চিঠি। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিধায়ক।

Advertisement

বড়ঞার প্রাক্তন ব্লক তৃণমূল সভাপতি গোলাম মুর্শেদের (জর্জ) অভিযোগ, পুনরায় ব্লক সভাপতি পদে বসাতে তাঁর কাছে ৩০ লক্ষ টাকা দাবি করেছিলেন বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। কিন্তু মুর্শেদ সেই টাকা দিতে অপারগ হওয়ায় ব্লক সভাপতির পদ পান রবীনকুমার ঘোষ, এমনটাই দাবি। গত বিধানসভা নির্বাচনে তিনি নাকি বিজেপি প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্ট ছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

[আরও পড়ুন: SSC নিয়োগ দুর্নীতি: উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে CBI হানা, এবার নজরে উপাচার্য]

শুধু ব্লক তৃণমূল সভাপতি নয়, ১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ব্লক যুব তৃণমূল সভাপতির পদও নাকি বিক্রি করেছেন বিধায়ক। এমনই অভিযোগ উঠছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া এক চিঠিতে বড়ঞার প্রাক্তন ব্লক যুব সভাপতি মাহে আলমকে তোলাবাজ অভিহিত করা হয়েছে। চিঠিটি লেখা হয়েছে ফিরহাদ হাকিমের উদ্দেশে। যেখানে মাহে আলেমকে সরানোর দাবি জানিয়েছেন বিধায়ক। যদিও চিঠিটির সত্যতা অস্বীকার করেছেন জীবনকৃষ্ণ সাহা।

এই সেই চিঠি।

[আরও পড়ুন: এবার থেকে প্রতি বছর TET, দায়িত্ব নিয়েই ‘কথা দিলেন’ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের নয়া সভাপতি]

 

বুধবার সাংবাদিক সম্মেলনও করে বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা পুরো ঘটনাটিকে মিথ্যা এবং ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের আরজিও জানিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে, বড়ঞার প্রাক্তন ব্লক যুব সভাপতি মাহে আলম বলেন, “আমার বিরুদ্ধে করা বিধায়কের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। মানুষের পাশে আমি সর্বদা থেকেছি তাই আমাকে সরানোর জন্য নোংরা খেলাই মেতেছেন এখানকার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ।” এই ঘটনায় রাজ্যের শাসকদলকে কটাক্ষ করেছেন স্থানীয় বিজেপি নেতা গৌরীশংকর ঘোষ। জানান, “আমাদের নির্বাচনী এজেন্ট একবছরের মাথায় তৃণমূলের ব্লক সভাপতি হয়েছেন। ভাবলেই লজ্জা হয়।” তাঁর আরও দাবি, ভাইরাল হওয়া সচিত্র পরিচয় পত্রটি সঠিক, ভুয়ো নয়। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup অলিম্পিক`২৪ toolbarvideo শোনো toolbarshorts রোববার