সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কয়েকদিন আগেই কানাডায় ফের খলিস্তানিদের রোষের মুখে পড়ে হিন্দু মন্দির! দেওয়ালের গায়ে লিখে দেওয়া হয় ভারত বিরোধী স্লোগান। যা নিয়ে নিন্দায় সরব হয়েছিলেন কানাডার ভারতীয় বংশোদ্ভূত সাংসদ চন্দ্র আর্য। এবার তাঁকে অবিলম্বে ভারতে চলে যাওয়ার হুমকি দিল কুখ্যাত খলিস্তানি নেতা গুরুপতবন্ত সিং পান্নুন!
খলিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যা নিয়ে সংঘাতে জড়িয়েছে ভারত ও কানাডা। এই খুনে নয়াদিল্লির দিকেই অভিযোগের তীর ছুঁড়েছে অটোয়া। একাধিকবার কানাডার হিন্দু মন্দিরে ভাঙচুর এবং ভারতবিরোধী স্লোগান লিখে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। প্রত্যেক ক্ষেত্রেই অভিযোগের তির ছিল খলিস্তানিদের দিকে। দুদিন আগেই কানাডার এডমন্টনের BAPS স্বামীনারায়ণ মন্দিরে ভারতবিরোধী স্লোগান লিখে দেয় দুষ্কৃতীরা। মন্দিরের দেওয়ালে লেখা হয়, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কানাডার শত্রু’। একইভাবে নিশানা করা হয় চন্দ্র আর্যকেও। তার পরই মন্দির বিকৃতি ও খলিস্তানিদের দৌরাত্ম নিয়ে মুখ খোলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত আর্য।
[আরও পড়ুন: ‘প্রত্যেক ধর্মের অধিকার যেন সুরক্ষিত থাকে’, কানোয়ার যাত্রার নির্দেশিকা নিয়ে সরব আমেরিকা]
সংবাদ সংস্থা এপি সূত্রে খবর, এর পরই নাকি শিখস ফর জাস্টিসের প্রধান পান্নুনের রোষের মুখে পড়েন চন্দ্র আর্য। বুধবার গোটা ঘটনা নিজেই এক্স হ্যান্ডেলে জানিয়ে এই সাংসদের অভিযোগ, 'এডমন্টনের BAPS স্বামীনারায়ণ মন্দিরের বিকৃতি নিয়ে কড়া নিন্দা করেছিলেন। কানাডায় খালিস্তান সমর্থকদের ঘৃণা ও হিংসা ছড়ানোর ঘটনার বিরোধিতা করেছিলাম। এর পরই একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছে শিখস ফর জাস্টিসের প্রধান গুরুপতবন্ত সিং পান্নুন। সেখানে আমাকে এবং আমার হিন্দু-কানাডিয়ান বন্ধুদের এখনই ভারতে ফিরে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। কারণ আমরা নাকি কানাডার মূল্যবোধ ও সনদের বিরুদ্ধে কাজ করি। যা একদমই সত্য নয়। আমরা কানাডার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সব সময়ই ইতিবাচক অবদান রেখেছি।' ফলে চন্দ্র আর্যর এই অভিযোগ থেকেই স্পষ্ট যে দিন দিন কানাডায় মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে হিন্দুবিদ্বেষ।
প্রসঙ্গত, আমেরিকার মাটিতে বসে লাগাতার ভারত বিরোধী ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে খালিস্তানি জঙ্গি নেতা পান্নুন। একাধিক ভিডিও বার্তায় হিন্দুদের হুমকি দিতে দেখা গিয়েছে তাকে। পান্নুনকে খুনের চেষ্টার অভিযোগে ভারতীয় নাগরিক নিখিল গুপ্তাকে সম্প্রতি গ্রেপ্তার করেছিল চেক প্রজাতন্ত্র। আমেরিকার নির্দেশেই বিদেশের মাটিতে গ্রেপ্তার হন ৫২ বছর বয়সি নিখিল। মামলার তদন্তেই নিখিলকে চেক প্রজাতন্ত্র থেকে আমেরিকায় প্রত্যর্পণ করা হয়েছে। এদিকে, দিল্লি বরাবর অভিযোগ জানিয়েছে যে, খলিস্তানিদের আখড়া হয়ে উঠেছে কানাডা।