সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সলমন খানের বাড়ি গ্য়ালাক্সিতে গুলিবর্ষণের ঘটনায় নতুন মোড়। তদন্তে পুলিশের হাতে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য়। সলমনের বাড়িতে গুলিবর্ষণের পরেই দুই শুটার সুরাটে পালিয়ে যায়। আর সেখানেই তাপি নদীতে বন্দুক ফেলে দেওয়া হয়েছিল। পুলিশের কাছে দেওয়া বয়ানেই দুই শুটার ভিকি গুপ্ত ও সাগর পাল এই তথ্য দিয়েছে।
১৫ এপ্রিল সলমনের বাড়ি গ্যালাক্সিতে আচমকাই গুলিবর্ষণ। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, দুই বাইক আরোহি এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে সলমনের গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের বাইরে। বুলেট গিয়ে লাগে সুপারস্টারের বাড়ির দেওয়ালে। গুলি চালিয়েই পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। ঘটনার পরই তদন্ত শুরু করে মুম্বই পুলিশ। গ্রেফতার হয়েছে দুই শুটারও। শোনা গিয়েছে, ভাইজানের বাড়ির সামনে নিরাপত্তার জন্য নাকি অন্তত ১০টি টিম মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, অন্তত চার রাউন্ড গুলি চালানো হয়েছে। আর প্ল্যান করেই দুষ্কৃতীরা এসেছিল। তাদের মুখ পুরোপুরি ঢাকা ছিল।
[আরও পড়ুন: বৈশাখের দহনজ্বালার সঙ্গে দোসর ভোট, জোড়া ফলায় বিদ্ধ পুরুলিয়ার পর্যটন]
ভাইজানের এই প্রাণনাশের হুমকির নেপথ্যে কে? এই প্রশ্নের উত্তরে বারবার গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইর নাম উঠে এসেছে। কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার অভিযোগ উঠেছিল সলমনের বিরুদ্ধে। তারপর থেকেই সুপারস্টারকে নিজের শত্রু হিসেবে মানে বিষ্ণোই। এর আগে একাধিকবার সলমন খানকে হুমকি দিয়েছে সে। শোনা যায়, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার জানতে পেরেছে বিষ্ণোইর হিট লিস্টে থাকা ১০ জনের মধ্যে সবার আগে সলমনের নাম রয়েছে।
শুধু রিল নয়, রিয়েল লাইফেও যে তিনি দাবাং চরিত্রের, তা আরও একবার প্রমাণ করে দিলেন সলমন খান। বাড়িতে শুটআউট, ফোনে লাগাতার হুমকির সামনেও মাথা নত করতে নারাজ ভাইজান। তাই তো সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, বিষ্ণোই গ্যাংকে ভয় পেয়ে বাড়িতে বসে থাকবেন না। আগের মতোই সমস্ত কাজ করবেন। আর রবিবার দুবাই থেকে ফেরার পরও সেই একই মেজাজে দেখা গেল সল্লু মিঞাকে। বিমানবন্দরে তাঁকে ঘিরে ছিল কড়া নিরাপত্তার চাদর। তবে বাইরে বেরিয়েই গাড়ির সামনের সিটে বসলেন ‘সাহসী’ সলমন।
[আরও পড়ুন: ‘দাদাগিরি’, ‘দিদি নম্বর ১’-এর শুটিং স্টুডিওতে আগুন, মেকআপ ভ্যানের এসিতে বিপত্তি! ]