shono
Advertisement

Breaking News

আবারও রক্তস্নাত মায়ানমার! সেনার গুলিতে অন্তত ১২ গণতন্ত্রকামীর মৃত্যু

নির্বিচারে সাধারণ মানুষদের উপরে গুলি চালানোর অভিযোগ জুন্টার বিরুদ্ধে।
Posted: 09:04 AM Mar 14, 2021Updated: 09:04 AM Mar 14, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মৃত্যুমিছিল অব্যাহত মায়ানমারে (Myanmar)। গোটা বিশ্বজুড়ে জুন্টার ভয়ানক আগ্রাসী ভূমিকার তীব্র নিন্দা হচ্ছে। গত বুধবারই রাষ্ট্রসঙ্ঘ তুলোধোনা করেছে মায়ানমারের সেনার এই ভূমিকাকে। কিন্তু কোনও সমালোচনাই যে তারা গ্রাহ্যের মধ্যে আনতে রাজি নয় তা এদিন ফের বুঝিয়ে দিল মায়ানমার সেনা। শনিবার অন্তত ১২ জন গণতন্ত্রকামীকে গুলি করে মারল জুন্টা। এক প্রত্যক্ষদর্শী সমাজকর্মীর মতে, ”নিরস্ত্র মানুষের উপরে নির্বিবাদে যে আচরণ ওরা করছিল, মনে হচ্ছিল যেন এটা যুদ্ধক্ষেত্র।”

Advertisement

শনিবার ম্যান্ডালায় ধরনায় বসে থাকা নিরস্ত্র মানুষদের উপরে যেভাবে গুলি চালিয়েছে সেনা, তা দেখে আতঙ্কিত প্রত্যক্ষদর্শীরা। চোখের সামনে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন পাঁচজন। তাদের মধ্যে এক ১৩ বছরের কিশোরও ছিল। সেনা যে গুলি চালানোর সময় কাউকে রেয়াত করছে না তা ফের স্পষ্ট হয়ে গেল এই ঘটনায়। এরই পাশাপাশি ইয়াঙ্গন, প্যায় ইত্যাদি জায়গাতেও নির্বিচারে চালানো হয়েছে গুলি। সি থু তুন নামের এক প্রতিবাদী জানিয়েছেন, তিনি দেখেন কীভাবে এক বৌদ্ধ সন্ন্যাসীকেও গুলি করে মেরে ফেলছে মায়ানমার সেনা।

[আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কায় নিষিদ্ধ হচ্ছে বোরখা, বন্ধের মুখে হাজারের বেশি ইসলামিক স্কুলও, ঘোষণা মন্ত্রীর]

১ ফেব্রুয়ারি আচমকাই দেশের শাসনক্ষমতা নিজেদের হাতে তুলে নেয় মায়ানমার সেনা। পালটা ক্যু বা সেনা অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে পথে নামে দেশের আমজনতা। কোথাও তারা বিক্ষোভ দেখাচ্ছে, তো কোথাও আবার শান্তিপূর্ণ অবস্থান করছে। কিন্তু আন সাং সু কি-পন্থীদের দমনে মরিয়া সে দেশের সেনা। আর সেই কারণেই নির্বিচারে দমন পীড়ন চালাচ্ছে তারা। এপর্যন্ত সেনার গুলিতে ৭০ জনের বেশি প্রতিবাদীর মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি কাঁদানে গ্যাস, জলকামান, রবার বুলেটের আঘাতে অনেকে আহত হয়েছেন।

এদিকে, সংবাদমাধ্যমের কাছে সম্প্রতি মুখ খুলেছেন এনএলডি নেত্রী আং সাং সু কি-র (Aung San Suu Kyi) আইনজীবী হিন মাউং জ। তাঁর আশঙ্কা, সু কি-কে নতুন ভাবে আইনি জালে জড়াতে পারে সেনা। এদিকে সু কি ঘনিষ্ঠ এক নেতা, যিনি বর্তমানে আত্মগোপন করে রয়েছেন, তিনি ফেসবুকে জানিয়েছেন, ”এটাই আমাদের দেশের অন্ধকারতম মুহূর্ত। তবে ভোর খুব কাছে চলে এসেছে।”

[আরও পড়ুন: পাপোশ হয়ে আমাজনে বিকোচ্ছে শ্রীলঙ্কার জাতীয় পতাকা! চিনা সংস্থার কীর্তিতে ক্ষুব্ধ কলম্বো]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement