shono
Advertisement

Breaking News

মহাকাশে সুনামি! অন্তরীক্ষে ধুন্ধুমার ঘটাতে পারে ব্ল্যাক হোল, ইঙ্গিত বিজ্ঞানীদের

সেই সুনামির অভিঘাত অকল্পনীয়, মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
Posted: 04:30 PM Jul 06, 2021Updated: 06:11 PM Jul 06, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক:  সুনামি (Tsunami)। তাও মহাকাশে (Space)! শুনতে যতটা ভয়ংকর মনে হচ্ছে, বাস্তবে তার চেহারা হতে পারে আরও বড়, আরও ভয়াবহ। এমনটাই অনুমান বিজ্ঞানীদের। এবং তাঁদের মতে, মহাকাশে সুনামি ঘটানোর ভিলেনের নাম ব্ল্যাক হোল (Black hole)। ব্রহ্মাণ্ডের প্রায় প্রতিটি ছায়াপথেরই কেন্দ্রে থাকে কোনও না কোনও ব্ল্যাক হোল। আমাদের ‘মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি’র কেন্দ্রে যেমন ‘স্যাজিটারিয়াস এ’। বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি কম্পিউটারে পরীক্ষা করে দেখেছেন বিপুল সুনামি তৈরি করে ফেলতে পারে যে কোনও ব্ল্যাক হোলই।

Advertisement

ব্ল্যাক হোল তথা কৃষ্ণগহ্বর নিয়ে জোতির্বিজ্ঞানীদের কৌতূহলের শেষ নেই। যত দিন যাচ্ছে ততই এই মহাজাগতিক বিস্ময় সম্পর্কে নতুন নতুন তথ্য হাতে আসছে। সৌজন্যে টেলিস্কোপের লেন্সে ধরা পড়া নানা মুহূর্ত। যেগুলিকে কাজে লাগিয়ে ব্ল্যাক হোলের সামগ্রিক কার্যকলাপ ও চরিত্রকে বুঝে ওঠার নিরন্তর প্রয়াস করে চলেছেন বিজ্ঞানীরা।

[আরও পডুন: উত্তর আটলান্টিক সাগরে ঘনীভূত দৈত্যাকার উষ্ণ বলয়, দাবদাহে পুড়েছে কানাডা, USA]

সম্প্রতি মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা NASA জানিয়েছে, যখন কোনও বিপুল‌ ভরের ব্ল্যাক হোল নিজের কেন্দ্রে ঘূর্ণায়মাণ নিউক্লিয়াস গঠন করে তখন প্রচুর পরিমাণে গ্যাস তার কেন্দ্র থেকে সরে যায় মেরুর দিকে। এবং এভাবে চলতে চলতে যখন ব্ল্যাক হোলটির নিয়্ন্ত্রণ পুরো বিষয়টির উপর থেকে চলে যায়, তখন তার কেন্দ্রের সেই ঘূর্ণায়মাণ নিউক্লিয়াসের চাকতি সংলগ্ন অপেক্ষাকৃত ঠান্ডা আবহাওয়ায় তৈরি হতে থাকে ঢেউ। সেই বিপুল গ্যাসীয় ঢেউ অনেকটাই দেখতে আমাদের পৃথিবীর সমুদ্রের ঢেউয়ের মতোই। এরপর সেই ঢেউ ব্ল্যাক হোলের সীমান্তের অপেক্ষাকৃত অনেক বেশি তাপমাত্রার (যা সূর্যের থেকেও ১০ গুণ উত্তপ্ত হতে পারে) সংস্পর্শে এলে তা বিপুল ভাবে ছিটকে উঠে ছড়িয়ে পড়তে পারে ১০ আলোকবর্ষ পর্যন্ত।

সেই প্রবল অভিঘাতকে কল্পনা করাও কঠিন।
উদাহরণস্বরূপ বলা যায় সূর্য থেকে তার নিকটতম নক্ষত্রের দূরত্ব ৪ আলোকবর্ষ। সুতরাং ১০ আলোকবর্ষ মানে যে বিপুল, কার্যত অসীম এক দূরত্বকে বোঝাচ্ছে। ব্ল্যাক হোলের সুনামি ততদূর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়তে পারে। আপাতত সমস্ত টেলিস্কোপের সাহায্যেই জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা চোখ রাখছেন মহাকাশের দিকে। উদ্দেশ্য, মহাজাগতিক সেই অত্যাশ্চর্য ঘটনাকে প্রত্যক্ষ করা। করতে পারলে ব্ল্যাক হোল তো বটেই, মহাজাগতিক ঘটনাবলির আরও বহু দিক সম্পর্কে হয়তো নয়া হদিশ মিলবে।

[আরও পডুন: ঘরোয়া সামগ্রীতেই তৈরি মাস্ক পোড়ানোর পরিবেশবান্ধব যন্ত্র, অভিনব উদ্ভাবনী বাঁশদ্রোণির যুবকের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement