বিপ্লবচন্দ্র দত্ত, কৃষ্ণনগর: রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে এমন বহু গ্রাম রয়েছে, যেখান থেকে থানা অনেক দূর। ফলে কোনও প্রয়োজনে থানায় যেতে হলে প্রবল সমস্যায় পড়তে হয় ওই এলাকার বাসিন্দাদের। সেই সমস্ত মানুষদের মুশকিল আসান করতে অভিনব পদক্ষেপ নদিয়ার (Nadia) কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার সুপার জাফর আজমল কিদোয়াইয়ের। পুলিশকর্মীরা তো বটেই, কৃষ্ণনগরে এবার থানাই পৌঁছে যাচ্ছে গ্রামে। কর্মসূচির নাম “পুলিশ (Police) আপনার গ্রামে।”
জানা গিয়েছে, চাপড়া থানার রানাবন্ধ ও হৃদয়পুরের মানুষদের কাছে ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে ভ্রাম্যমান থানা। ভারত-বাংলাদেশের সীমান্ত লাগোয়া ওই দুটি গ্রামের মানুষের একাধিক সমস্যা ছিল। করোনা পরিস্থিতিতে সেই সমস্যা আরও বেড়েছিল। থানা অনেকটা দূরে হওয়ায় অভিযোগও জানাতে পারছিলেন না। তবে গ্রামে ভ্রাম্যমান থানা পৌঁছতেই মিলল স্বস্তি। হৃদয়পুরের চন্দ্রজিৎ বিশ্বাস জানালেন, “বেশ কয়েকদিন আগে আমার ভোটার কার্ড হারিয়ে গিয়েছে। আমি অসুস্থ। তাই প্রায় ১২ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে চাপড়া থানায় গিয়ে ডায়েরি করা সম্ভব হচ্ছিল না। থানা আমাদের কাছে আসায় সেই সমস্যা মিটল। আমি উপকৃত।”
[আরও পড়ুন: ‘দলই আমাকে হারানোর ছক কষছে, নির্বাচনে লড়ব না’, উদয়ন গুহর মন্তব্যে অস্বস্তিতে তৃণমূল]
অন্যদিকে রানাবন্ধ গ্রামের আশরাফ মণ্ডল বলেন, “কয়েকদিন আগে আমার রেশন কার্ড হারিয়ে গিয়েছিল। কোন গাড়িও চলছিল না। কীভাবে যে থানায় যাব বুঝে উঠতে পারছিলাম না। থানা গ্রামে চলে আসায় আমাদের অনেক সুবিধা হয়েছে।” পুলিশের ওই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন হৃদয়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যার স্বামী বিমল মণ্ডল। তাঁর বক্তব্য, “সীমান্তের কাছেই আমাদের গ্রাম। গ্রামের মানুষের অনেকরকম সমস্যা। কিন্তু থানায় পৌঁছনো তাঁদের জন্য কঠিন। তাই থানা যদি গ্রামে চলে আসে, তাহলে মানুষের আর সমস্যা থাকে না।” এই বিষয়ে কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার একজন আধিকারিক বলেন, “মানুষের পাশে থাকাই আমাদের উদ্দেশ্য।”
[আরও পড়ুন: শ্রী হরিচাঁদ ও গুরুচাঁদের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা হচ্ছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব সুব্রত ঠাকুর]
The post মানুষের স্বার্থে ভ্রাম্যমান থানা, নদিয়ার প্রত্যন্ত গ্রামে গিয়ে অভাব-অভিযোগ শুনছে পুলিশ appeared first on Sangbad Pratidin.