সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিধানসভা নির্বাচনের (Assembly Election 2021) আগে তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়িয়ে ‘বিদ্রোহী’ হয়ে উঠেছেন বহু নেতা-মন্ত্রী। কেউ সোশ্যাল মিডিয়ায় আবার কেউ সংবাদমাধ্যমের সামনে দলবিরোধী মন্তব্য করে ঘাসফুল শিবিরের উপর চাপ তৈরি করেছেন। তবে সে রাস্তায় হাঁটলেন না নৈহাটি শহর যুব তৃণমূলের সভাপতি সনৎ দে। পরিবর্তে প্রকাশ্য সভামঞ্চ থেকে পুলিশের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে পদ থেকে ইস্তফা দিলেন তিনি। পরে যদিও ইস্তফার কারণ হিসাবে শারীরিক অসুস্থতাকেই হাতিয়ার করেছেন সনৎ দে।
বুধবার সন্ধেয় নৈহাটিতে একটি সভা ছিল মদন মিত্রের (Madan Mitra)। সেখানেই উপস্থিত ছিলেন নৈহাটি শহর যুব তৃণমূল সভাপতি সনৎ দে। মদন মিত্র সভাস্থলে পৌঁছনোর আগে মঞ্চে বক্তৃতা দিতে ওঠেন তিনি। ওই সভামঞ্চ থেকে পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। বলেন, “আমার উপর আটবার হামলা চালানো হয়। প্রত্যেকবার থানায় অভিযোগ জানিয়েছি। তবে পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। একটা অফিসকে কেন্দ্র করে বোমাবাজি হচ্ছে। তদন্ত আটকে রেখেছে পুলিশ। রিটার্ন টিকিট আমি কেটে নিয়ে এসেছি।” একথা বলেই পদত্যাগ করার কথা প্রকাশ্যে ঘোষণা করেন।
[আরও পড়ুন: শুভেন্দু অধিকারীর মিছিলে ‘গোলি মারো’ স্লোগান কাণ্ডে জারি গ্রেপ্তারি, ধৃত বিজেপি নেতা-সহ ৩]
তবে মঞ্চ থেকে নামার পরই সুরবদল করেন সনৎ দে (Sanat Dey)। পদত্যাগের নেপথ্যে বয়সজনিত এবং অসুস্থতাকে কারণ হিসাবে উল্লেখ করেন। জানান, “আমার বয়স হয়ে গিয়েছে। শারীরিক অবস্থাও বিশেষ ভাল নয়। ডায়াবেটিস-সহ নানা রোগে ভুগছি। তাই আমাকে রেহাই দেওয়ার আবেদন দলের কাছে জানালাম।”
কিছুক্ষণ পরেই সভাস্থলে পৌঁছন মদন মিত্র। তৃণমূলের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে যুক্ত সনৎ দে’র ইস্তফার সিদ্ধান্তের কথা শোনেন। তারপরই শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) দলবদলের প্রসঙ্গ টেনে সনৎ দে’র প্রশংসা করেন মদন। তিনি বলেন, “মঞ্চ থেকে পদত্যাগ করেছেন সনৎ। এটা ইমানদারি, শুভেন্দুর মতো বেইমানি নয়। অনেকদিন ধরেই পদ ছাড়ার কথা বলছে। কিন্তু ও দলের সঙ্গেই আছে। ও বলেনি আমি দল ছেড়ে দেব। ও বলছে আমি যুবর সভাপতি পদ ছেড়ে দেব। আমরা এ নিয়ে দলের মধ্যে আলোচনা করছি।” তবে মদন মিত্রের প্রতিক্রিয়া প্রসঙ্গে সনৎ দে’র মতামত এখনও কিছু জানা যায়নি।