সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আসিয়ান-ইন্ডিয়া শীর্ষ সম্মেলন এবং ইস্ট এশিয়া বা পূর্ব এশিয়া শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে ইন্দোনেশিয়া পৌঁছলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিমানবন্দর থেকে হোটেল পৌঁছলে তাঁকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান জাকার্তার প্রবাসী ভারতীয়রা। চারিদিক ‘মোদি মোদি’, ‘বন্দেমাতরম’ স্লোগানে কেঁপে ওঠে।
বৃহস্পতিবার ভোরবেলা ইন্দোনেশিয়ায় পা রাখেন মোদি। সেখানে পৌঁছে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আসিয়ান সামিটে সহ-সভাপতিত্ব করা ভারতের জন্য গর্বের এবং সম্মানের। এই সম্মেলন ‘অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি’ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলি সংক্রান্ত নীতি বা ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সহযোগিতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। আমাদের এই সহযোগিতার চার দশক পূর্ণ হয়েছে। গত বছর আমরা ভারত-আসিয়ান বন্ধুত্ব উদযাপন করেছি। এই সম্মেলন আয়োজনের জন্য প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডোকে আন্তরিক শুভেচ্ছা।”
[আরও পড়ুন: জি-২০ সম্মেলনে দিল্লিতে অঘোষিত কারফিউ! সড়ক-আকাশ নিয়মের শিকল-বন্দি]
জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের আগে সকলের নজর রয়েছে আসিয়ান-ইন্ডিয়া শীর্ষ সম্মেলনের দিকে। ২০২২ সালে ভারত এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয় দেশগুলির অ্যাসোসিয়েশন বা আসিয়ান গোষ্ঠীর মধ্যে এই কৌশলগত অংশীদারিত্ব তৈরি হয়। গত বছর জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের পর, এই প্রথম ইন্দোনেশিয়া সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। এই সম্মেলনে আসিয়ান-ইন্ডিয়া সম্পর্কের অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হবে। এই অংশিদারিত্বের ভবিষ্যত দিক নির্দেশ করবে আসন্ন শীর্ষ সম্মেলন। আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক দিক থেকে তাৎপর্যপূর্ণ বিভিন্ন বিষয়ে মতামত বিনিময় করবেন ভারত-সহ আসিয়ান দেশগুলির নেতারা।
বিশ্লেষকদের মতে, ইন্দোনেশিয়ার এই সম্মেলন চিনের উপর নজর রয়েছে প্রধানমন্ত্রী মোদির। চিনা আগ্রাসান রুখতে পূর্ব এশিয়ার দেশগুলিকে একজোট করার চেষ্টা করছে ভারত। সীমান্ত নিয়ে এমনিতেই বেজিংয়ের সঙ্গে সংঘাত চরমে নয়াদিল্লির। এর মধ্যে নতুন ম্যাপ প্রকাশ করে নতুন করে বিতর্ক উসকে দিয়েছে জিনপিং প্রশাসন। ভারতের মতোই চিনের মানচিত্রের কড়া বিরোধিতা করেছে ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, ফিলিপিন্স, ব্রুনেই, ইন্দোনেশিয়া। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, এই দেশগুলিই আসিয়ান-ইন্ডিয়া সামিটের সদস্য।