সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজনীতিতে পরিবারতন্ত্রের অভিযোগ তুলে ফের খোঁচা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই পরিবারগুলি কেবল নিজেদের উন্নতির কথা ভাবে বলে দাবি করেছেন তিনি। রাজনীতিতে তরুণ প্রজন্ম উঠে আসতে পারছে না এই পরিবারগুলির কারণে, এমন কথাও তেলেঙ্গানা সফরে এসে বলেছেন মোদি (Narendra Modi)। এহেন মন্তব্যের পালটা দিয়েছে কেসিআরের দল তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতিও।
হায়দরাবাদে দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে বৃহস্পতিবার ভাষণ দিতে গিয়ে তেলেঙ্গানা (Telengana) রাজনীতিতে কেসিআরের পরিবারকে টেনে সমালোচনা করেন মোদি। তিনি বলেন, “পরিবারতান্ত্রিক দলগুলি কেবল নিজেদের স্বার্থের কথা ভাবে। গরিব মানুষের উন্নয়নের কথা এদের মাথায় আসে না। এদের একটাই লক্ষ্য, বেশিদিন ধরে ক্ষমতায় কীভাবে থাকা যায়। ক্ষমতায় থেকে লুট করা যায়।” একইসঙ্গে তিনি বলেছেন, রাজনীতিতে পরিবারতন্ত্র হল গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় শত্রু। মোদি বলেন, “আমরা দেখেছি, দুর্নীতিই এই পরিবারগুলির মূল পরিচয়।”
[আরও পড়ুন: পরপর দলত্যাগে জীর্ণ কংগ্রেসে অক্সিজেন, যোগ দিলেন উত্তরপ্রদেশের প্রভাবশালী ব্রাহ্মণ নেতা]
২০১৪ সালে অন্ধ্রপ্রদেশ ভেঙে পৃথক রাজ্য হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে তেলেঙ্গানা। সেই আন্দোলনের কথা মনে করিয়ে দিয়ে মোদি বলেছেন, ”একটি পরিবার তেলেঙ্গানার উন্নয়নের স্বপ্ন ভেঙে দেবে, এই কারণে তো আন্দোলন করা হয়নি।” তিনি আরও বলেছেন, বিজেপি চায় তেলেঙ্গানাকে টেকনোলজি হাব হিসাবে গড়ে তুলতে। তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কেসিআরকে নিশানা করে মোদি বলেছেন, বেছে বেছে বিজেপি কর্মীদের রাজনৈতিকভাবে আক্রমণ করা হচ্ছে।
কেসিআরকে (KCR) ‘কুসংস্কারাছন্ন’ বলেও অভিহিত করেছেন তিনি। মোদি বলেছেন, “কুসংস্কারাছন্ন ব্যক্তি রাজ্যের উন্নয়ন করতে পারে না। আমি বিজ্ঞানে বিশ্বাস করি। আমি যোগী আদিত্যনাথের উদাহরণ দেব। তিনি সাধু হয়েও কুসংস্কার মানেন না। আমরা চাই, তেলেঙ্গানা কুসংস্কারাছন্ন ব্যক্তিদের হাত থেকে মুক্ত হোক।” প্রসঙ্গত, বিজেপি বিরোধী জোট গড়ে তোলার জন্য আলোচনা করতে বেঙ্গালুরু গিয়েছেন কেসিআর। মোদির সঙ্গে দেখা করেননি তিনি।
বিজেপির দিকে পালটা পরিবারতন্ত্রের (Family Run Party) অভিযোগ করেছে টিআরএস। দলের মুখপাত্র কৃষাঙ্ক মানে বলেছেন, “প্রধানমন্ত্রী কেবল পরিবারতন্ত্রের কথাই বললেন। তাহলে জয় শাহ কে? বিজেপি থেকে রাজনাথ সিং এবং তাঁর ছেলেকেও পার্টি থেকে বহিষ্কার করা উচিত। শুধু তেলেঙ্গানার কথা উঠছে কেন?” বেঙ্গালুরুতে সাংবাদিকদের কেসিআর বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শুধু ‘ভাষণবাজি’ করেন।