সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ছোটবেলায় যাঁরা হেমেন্দ্রকুমার রায়ের লেখা পড়ে সুদূর আফ্রিকার রত্নগুহায় অ্যাডভেঞ্চারের স্বপ্ন দেখতেন, তাঁরা এই খবরে নস্ট্যালজিয়ায় ভুগতে পারেন। মহাকাশের বুকে রয়েছে এমন এক ‘রত্নগুহা’, যা বুঝি হার মানায় কুবেরের ভাণ্ডারকেও। এর নাম সাইকি-১৬। এই গ্রহাণুতে (Asteroid) রয়েছে এমন সব ধাতু, যার সম্মিলিত মূল্য নাকি পৃথিবীর সামগ্রিক অর্থনীতিকেও হার মানায়! জানা গিয়েছে, আগামী ১ আগস্ট ওই গ্রহাণুর উদ্দেশে রওনা দেবে NASA ও স্পেসএক্স।
মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ও ধনকুবের এলন মাস্কের সংস্থা মিলে এই অভিযান চালাবে। যে অভিযান ঘিরে এখন থেকেই জল্পনা তুঙ্গে। বছর খানেক আগে প্রথম সন্ধান মিলেছিল মঙ্গল ও বৃহস্পতির মাঝে অবস্থিত এই গ্রহাণুটির। নাসার হাবল মহাকাশ টেলিস্কোপে ধরা পড়েছিল সেটির ছবি। এরপর বিজ্ঞানীরা সেটিকে পর্যবেক্ষণ করে জানতে পারেন, যত ধাতু রয়েছে এই গ্রহাণুটিতে তার সম্মিলিত মূল্য প্রায় ১০ হাজার কোয়াড্রিলিয়ন। আগেই বলা হয়েছে, তা হার মানায় পৃথিবীর মোট অর্থনীতিকেও। বিজ্ঞানীদের ধারণা, কোনও গ্রহের ভূত্বক ও আবরণের অবশিষ্টাংশ। সৌরজগৎ সৃষ্টির সময় একাধিক সংঘর্ষের ফলে এটির উৎপত্তি। এবার সেই গ্রহাণুর দিকেই চোখ বিজ্ঞানীদের।
[আরও পড়ুন: বিরাট আর বুমরাহর সম্পর্ক খারাপ করতে চাইছেন পার্থিব! নেটিজেনদের তীব্র কটাক্ষের মুখে প্রাক্তন কিপার]
স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে, মহাকাশের বুকে নাসার এই অভিযানে ঠিক পরিকল্পনা রয়েছে? না, সেই রকেট গ্রহাণুটিকে টেনে পৃথিবীতে নিয়ে আসবে না। কেননা তা প্রায় অসম্ভব। এবং যদি কোনও ভাবে তা সম্ভবও হয়, তাহলেও পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের ভিতরে প্রবেশ করলেই তা জ্বলেপুড়ে উল্কাপিণ্ডে পরিণত হবে। কাজেই তেমন কোনও পরিকল্পনা নেই বিজ্ঞানীদের। তাঁদের পাঠানো রকেটটি খুব কাছ থেকে নিরীক্ষণ করবে সাইকি-১৬-কে।
কিন্তু সত্যিই যদি ওই গ্রহাণুকে নিয়ে আসা যেত পৃথিবীতে? এপ্রসঙ্গে বলতে গিয়ে আগেই এলকিন্স ট্যানটন নামের এক বিজ্ঞানী সিএনএনকে জানিয়েছেন, ”আমরা কোনও ভাবেই সাইকিকে পৃথিবীতে নিয়ে আসতে পারব না। সেই ধরনের প্রযুক্তি আমাদের হাতে নেই।” তাছাড়া সত্যিই এমনটা করা গেলে যে নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে সেকথাও উল্লেখ করেছেন তিনি। তবে তাঁর কথায়, ”এটা ভাবতে ভাল লাগে ম্যাসাচুসেটসের আকারের একটা ধাতব খণ্ড কতটা দামি হতে পারে!”