সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০২৪ সালে চাঁদে (Moon) মানুষ পাঠাতে চলেছে আমেরিকা। এতদিন এমনটাই জানা ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নাসার (NASA) সব পরিকল্পনাই ভেস্তে যেতে বসেছে। না, চিন কিংবা রাশিয়ার কোনও আগাম চন্দ্রাভিযানের কারণে হতাশ হয়ে নয়। এর পিছনে রয়েছে এক অদ্ভুত কারণ। মহাকাশচারীদের যে পোশাক, তার বিপুল দামই হয়ে উঠেছে অন্তরায়। আর সেই কারণেই আপাতত চাঁদে মানুষ পাঠানোর সময়সীমা পিছোতে চলেছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা।
গত ১৪ বছর ধরে নয়া স্পেসস্যুট বানাচ্ছে নাসা। কিন্তু এবারের অডিটের ফাইনাল রিভিউ থেকে জানা গিয়েছিল নয়া প্রজন্মের উপযুক্ত স্পেসস্যুটের যা খরচ পড়তে চলেছে তাতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে চন্দ্রাভিযান কার্যত অসম্ভব। কিন্তু কেন সেটা আগে বোঝা যায়নি? মহাকাশ সংক্রান্ত ওয়েবসাইট ‘স্পেস.কম’ সূত্রে জানা যাচ্ছে, কোভিড-১৯-এর কারণেই তহবিলে ভাটার টান। আর সেই কারণেই যে স্পেসস্যুটগুলির দাম ধরা হয়েছিল ২০০ মিলিয়ন ডলার তথা ২০ কোটি টাকা, সেই খরচ অনেক বেড়ে যাচ্ছে। পরিস্থিতি যা দাঁড়িয়েছে ২০২৪ সালের নভেম্বরের মধ্যে দু’টি স্যুট প্রস্তুত করে ফেলা সম্ভব হবে না।
[আরও পড়ুন: Chandrayaan-2: চাঁদের মাটিতে জলের অস্তিত্বের খোঁজ দিল চন্দ্রযানের অরবিটার]
২০১৭ নাগাদ নাসা জানিয়েছিল, স্পেস স্যুট বাবদ ২০ কোটি টাকা খরচ পড়বে। কিন্তু সেই খরচই এখন কয়েক গুণ বেড়ে গিয়ে হয়েছে ৬২ কোটি টাকারও বেশি। যা ২০২৫ সালের অর্থবর্ষের আগে বরাদ্দ করা সম্ভব নয়।
তাহলে কবে নাগাদ চাঁদে যেতে পারে আমেরিকা? এই মুহূর্তে সেটা বলা বেশ কঠিন। ওই ওয়েবসাইটের দাবি, ২০২৫ সালের এপ্রিলের আগে যেহেতু ওই অর্থ মিলবে না তাই তার আগে কোনও মতেই তৈরি করা যাবে না স্পেস স্যুট। এরপর নভোচারীদের প্রশিক্ষণ পর্ব পেরিয়ে তবে চূড়ান্ত যাত্রা। সুতরাং নির্দিষ্ট সময়ের থেকে অনেকটাই দেরিতে হয়তো চাঁদের উদ্দেশে যাত্রা করবেন মার্কিন মহাকাশচারীরা।