সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ ছবিকে সমালোচনা করে বিজেপির কটাক্ষের মুখে পড়লেন বলিউড অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহ। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নাসিরকে একহাত নিলেন বিজেপি নেতা তথা অভিনেতা মনোজ তিওয়ারি (Manoj Tiwari)। নাসিরকে কটাক্ষ করে মনোজ বলেন, ‘নাসিরুদ্দিন ভাল অভিনেতা, তবে তাঁর মতলব ভাল নয়।’
এই সাক্ষাৎকারে মনোজ আরও বলেন, যখন সিনেমায় ইভটিজিং দেখান হয়, সে সময় নাসিরুদ্দিন মুখ খোলেন না। কিন্তু ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’, ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ ছবিতে বাস্তব দেখালেই অপরাধ। উনি যেভাবে কথা বলছেন আজকাল, তা ভারতীয় নাগরিক ও ভাল মানুষের রূপ নয়।
ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগে একাধিকবার বলিউড সিনেমাকে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়েছে। প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে ছবির গল্প। গতবছর ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। সেই উদাহরণের তালিকায় নয়া সংযোজন ‘দ্য কেরালা স্টোরি’। বিতর্কের পালে ভর করে বক্স অফিসে রমরমিয়ে ব্যবসা করলেও প্রচারমূলক সিনেমার তকমা কিন্তু এই দুটো সিনেমার ক্ষেত্রেই জুটেছে।
[আরও পড়ুন: ‘নয়া সংসদ ভবন এরকম দেখতে…!’, মোদিকে খোঁচা প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ অমিতাভের?]
আমজনতার একাংশের অভিযোগ, ধর্মকে হাতিয়ার করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করা হচ্ছে। বিভাজন নীতির বীজবপণ করা হচ্ছে। এবার সেই প্রেক্ষিতেই নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন নাসিরুদ্দিন শাহ। তাঁর মন্তব্য, “বর্তমানে সিনেমাগুলোতে যা দেখানো হচ্ছে, তা পুরোপুরি ‘ইসলামোফোবিয়া’। অবশ্যই এটা চিন্তার কারণ। কেরামতির সঙ্গে এহেন বিদ্বেষমূলক প্রচার লেপে দেওয়া হচ্ছে মানুষের মনে। আজকাল মুসলিম বিরোধিতা করাটা ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে।”
আমজনতার একাংশের অভিযোগ, ধর্মকে হাতিয়ার করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করা হচ্ছে। বিভাজন নীতির বীজবপণ করা হচ্ছে। এবার সেই প্রেক্ষিতেই নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন নাসিরুদ্দিন শাহ। তাঁর মন্তব্য, “বর্তমানে সিনেমাগুলোতে যা দেখানো হচ্ছে, তা পুরোপুরি ‘ইসলামোফোবিয়া’। অবশ্যই এটা চিন্তার কারণ। কেরামতির সঙ্গে এহেন বিদ্বেষমূলক প্রচার লেপে দেওয়া হচ্ছে মানুষের মনে। আজকাল মুসলিম বিরোধিতা করাটা ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে।”
এখানেই অবশ্য থামেননি নাসিরুদ্দিন শাহ। এরপর বলিউডের প্রবীণ অভিনেতা বিজেপিকে তোপ দেগে এও বলেন যে, “শিক্ষিত লোকেদেরও এই মুসলিম বিরোধিতা করাটা অভ্যেস হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশের শাসকদল খুব বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে মানুষের মজ্জায় মজ্জায় এই বিষয়টি ঢুকিয়ে দিয়েছে। আমরা ধর্মনিরপেক্ষতা, গণতন্ত্র এসব নিয়ে যখন বড় বড় বুলি আওড়াই, তাহলে সবকিছুতে ধর্মকে ঢোকানোর দরকারটা কি?”