সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হজরত মহম্মদকে (Prophet Mohammad Row) নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে অশান্তি। নুপূর শর্মার ওই মন্তব্যকে সমর্থন করে টুইট করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন নবীন জিন্দাল (Naveen Jindal)। নুপূরের মতোই তাঁকেও দল থেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি (BJP)। এই পরিস্থিতিতে নবীনের অভিযোগ, তাঁকে খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। যেখানেই যাচ্ছেন অনুসরণ করছে আগন্তুকরা। আতঙ্কে দিল্লি ছেড়ে চলে গিয়েছে তাঁর পরিবার।
অভিযোগ, সোশ্যাল মিডিয়ায় লাগাতার হুমকি দেওয়া হচ্ছে নবীন জিন্দালকে। তিনি জানিয়েছেন, ”আমি এখনও দিল্লিতেই রয়েছি। যদিও আতঙ্কিত হয়ে আমার পরিবার ইতিমধ্যেই শহর ছেড়ে চলে গিয়েছে।” তাঁর দাবি, গত কয়েক দিন তিনি যেখানেই গিয়েছেন, বুঝতে পেরেছেন বেশ কয়েকজন অচেনা মানুষ তাঁকে অনুসরণ করছে।
[আরও পড়ুন: নাগাল্যান্ড গুলিকাণ্ডের চার্জশিটে ৩০ সেনা জওয়ানের নাম, জেরা করতে কেন্দ্রের অনুমতি চাইল রাজ্য]
এদিকে নুপূর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যের পরে তৈরি হওয়া বিতর্কে বহিষ্কৃত বিজেপি নেত্রীকে সমর্থন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ‘সনাতন সেবা সংস্থান’। হিন্দুত্ববাদী ওই সংগঠনের তরফে গুজরাটের সরখেজ গান্ধীনগর হাইওয়েতে জমায়েত করা হয়। কিন্তু পুলিশ এই জমায়েতের অনুমতি দেয়নি। সেখান থেকে বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারীকে আটকও করা হয়। পরে অবশ্য সকলকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।
উল্লেখ্য, বিক্ষোভ-প্রতিবাদের জেরে আগুন জ্বলছে ঝাড়খণ্ড, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, বাংলার একাধিক জায়গায়। নূপুরের গ্রেপ্তারির দাবি তুলে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হয়েছে আন্দোলন। পরিস্থিতি সামাল দিতে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের পুলিশ প্রধানদের সতর্ক করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। পুলিশকে সতর্ক এবং প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে নির্দেশিকায়। আশঙ্কা, এরপর পুলিশ কর্তাদের নিশানা করা হতে পারে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, “সুচারুভাবে দেশের শান্তি নষ্টের চেষ্টা চলছে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য পুলিশকে প্রস্তুত থাকতে হবে। প্রয়োজনে প্রস্তুত রাখতে হবে আধাসেনাকেও। শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার প্রয়োজনে পুলিশ মোতায়েন করা যেতে পারে।” পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ায় নজর রাখার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে রাজ্য পুলিশকে। কারা উসকানিমূলক মন্তব্য করছে, কারা উসকানিমূলক ভিডিও পোস্ট করছে, তাদের চিহ্নিত করতে হবে বলেও জানানো হয়েছে নির্দেশিকায়।