ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: জেলের খাবারের মান কেমন? বিধানসভায় দাঁড়িয়ে জানালেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি(Nawsad Siddique)। তুলে ধরলেন নিজের জেলের অভিজ্ঞতার কথা। মঙ্গলবার প্রশ্নোত্তর পর্বে কারামন্ত্রী অখিল গিরি জেলের খাবারের বর্ণনা দেন। জেলে খাবারের মান বেশ ভালোই বলে দাবি করেন তিনি। বিধানসভায় দাঁড়িয়ে এর বিরোধিতা করে ভাঙড়ের বিধায়কের দাবি, জেলে খাবারের গুণগত মান খারাপ।
এদিন বিধানসভায় কারামন্ত্রী অখিল গিরি জানান, জেলে প্রতিদিন ২৫০ গ্রাম চাল, ১০০ গ্রাম ডাল, ৩০০ গ্রাম সবজি, সঙ্গে ১০০ গ্রাম আলু দেওয়া হয়। সপ্তাহে একদিন করে ৭৫ গ্রাম মাছ,৭৫ গ্রাম মাংস, ২৫ গ্রাম করে ডিম ও সয়াবিন দেওয়া হয়। বিকেলে চারটে বিস্কুট-সহ চা-ও দেওয়া হয়। টিফিনে মুড়ির সঙ্গে থাকে বাদাম ও ডাল ভাজা। নিরামিষভোজীদের ২৫০ মিলিলিটার দুধ দেওয়ারও ব্যবস্থা থাকে।
[আরও পড়ুন: কেজরির সচিব, সাংসদের বাড়িতে হানা, ‘ভুয়ো জবানবন্দিতে সই করাচ্ছে ইডি’, তোপ আতিশীর]
কারামন্ত্রীর দাবির বিরুদ্ধে গর্জে ওঠেন ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। প্রশ্নোত্তর পর্বে নিজের জেল জীবনের অভিজ্ঞতা শোনান তিনি। সরকারি আদেশে জেলে মাছ দেওয়ার কথা ৭৫ গ্রাম। নওশাদের অভিযোগ তা দেওয়া হয় না। প্রশ্নোত্তর পর্বে আইএসএফ বিধায়কের কটাক্ষ, “যিনি মাছে কাটেন তাঁর হাত কেটে যাবে। এতটাই পাতলা।” তাঁর আরও অভিযোগ, শীতকালে বিকেল সাড়ে চারটেয় খাবার দেওয়া হয়। সরকারি নিয়ম বা আদেশ থাকলেও সংশোধনাগারে আদেশ পালন হয় না। নওশাদের দাবি, জেলে গরম ভাত দেওয়া হোক বন্দিদের।
উল্লেখ্য, গত বছর ধর্মতলায় অশান্তির ঘটনায় ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। প্রায় ৪২ দিন জেল হেফাজতে ছিলেন তিনি। সেই সময়ের অভিজ্ঞতার কথাই এদিন বিধানসভায় তুলে ধরলেন তিনি।