সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত বছরের আগস্ট মাসে আফগানিস্তান (Afghanistan) দখল করেছে তালিবান। ক্ষমতায় এসে শুদ্ধিকরণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল জেহাদিরা। তবে সহিষ্ণু হয়ে ওঠার আশ্বাস দিলেও অচিরেই পরিষ্কার হয়ে যায়, তালিবান আছে তালিবানেই। এবার জানা গিয়েছে যে ক্ষমতার আসার পর ক্ষমতাচ্যুত আশরফ ঘানি সরকারের প্রায় ৫০০ জন প্রাক্তন আধিকারিককে হত্যা করেছে জেহাদি দলটি।
[আরও পড়ুন: ইউক্রেনকে মুছে ফেলতে চাইছেন ‘গণহত্যাকারী’ পুতিন, তোপ বাইডেনের]
সম্প্রতি ‘দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস’-এর একটি তদন্তমূলক প্রতিবেদনে জানা গিয়েছে যে আফগানিস্তানের মার্কিন মদতপুষ্ট পূর্ববর্তী সরকারের প্রায় ৫০০ আধিকারিককে অপহরণ করে খুন করেছে তালিবান। আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্ক থাকার অভিযোগে তাঁদের হত্যা করেছে জঙ্গিরা। নিহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন আফগান সেনার প্রাক্তন অফিসারও রয়েছেন বলে খবর। ক্ষমতায় আসার ছ’মাসের মধ্যেই জেহাদিদের এহেন তাণ্ডবে আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি যে কতটা ভয়াবহ তা স্পষ্ট।
মার্কিন সংবাদমাধ্যমকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা স্পুটনিক জানিয়েছে, বাঘলান প্রদেশে ৮৪ জন প্রাক্তন আমলা বা সেনা আধিকারিককে খুন করেছে তালিবান। একদা তালিবান বিরোধী মিলিশিয়াদের গড় বলে পরিচিত কান্দাহারে নিরুদ্দেশ অন্তত ১১৪ জন আমলা। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ক্ষমা করে দেওয়া অজুহাতে আফগান সেনা ও আশরফ ঘানি সরকারের আমলাদের গোপন ডেরা থেকে ডেকে এনে হত্যা করছে তালিবান। এদিকে, তালিবানের দাবি সমস্ত অভিযোগ মিথ্য। তাদের বদনাম করার জন্য এই ষড়যন্ত্র রচনা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ক্ষমতা দখলের পর থেকেই ধীরে ধীরে স্বমহিমায় ফিরেছে তালিবান। বিভিন্ন অপরাধে হাত-পা কেটে ফেলা, শিরশ্ছেদের মতো শাস্তির পক্ষে সওয়াল করেছে তালিবান নেতৃত্ব। গতবছর চার অপহরণকারীকে হত্যা করে তাদের দেহ প্রকাশ্যে ক্রেন থেকে ঝুলিয়ে দিতে দেখা গিয়েছিল তালিবানকে। সেই দৃশ্য দেখে শিউরে উঠেছিল বিশ্ব। এমনকী, কাবুল দখল করার আগে যখন একে একে আফগানিস্তানের বিভিন্ন প্রদেশ দখল করছে তালিবান, সেই সময় এক কৌতুকশিল্পীকে মানুষকে হাসানোর ‘অপরাধে’ মেরে ঝুলিয়ে দিয়েছিল তারা।