সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিটের প্রশ্নফাঁস মামলার তদন্তে নেমে এবার ডাক্তারি পড়ুয়া এক ছাত্রীকে গ্রেপ্তার করল সিবিআই। তদন্তকারীদের দাবি গ্রেপ্তার হওয়া ওই ছাত্রী রাষ্ট্রীয় ইন্সটিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্স(RIMS) কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। অভিযোগ, প্রশ্নফাঁসের সলভার গ্যাংয়ের সঙ্গে যোগ রয়েছে অভিযুক্ত ওই ছাত্রীর। ফাঁস হওয়া প্রশ্ন সমাধান করত অভিযুক্ত। সুরভি কুমারি নামে ওই অভিযুক্ত ৩ দিনের সিবিআই হেফাজত দিয়েছে আদালত।
তদন্তকারীদের তরফে জানা যাচ্ছে, গত ২ দিন ধরে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল সুরভিকে। এর পর এই প্রশ্নফাঁস কাণ্ডে তাঁর যোগ রয়েছে নিশ্চিত হওয়ার পর শুক্রবার গ্রেপ্তার করা হয় তাঁকে। শুধু তাই নয় ৫ মে নিট পরীক্ষার দিন এই কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত পঙ্কজ কুমারের প্রশ্নপত্রের সমাধান করতে সকালে হাজারীবাগে উপস্থিত ছিলেন সুরভি। সলভার গ্যাংয়ের ফাঁস হওয়া প্রশ্ন সমাধানের জন্যও একটি দল ছিল। অন্তত ১০ জন এই প্রশ্নফাঁসের কারবারে যুক্ত ছিল।
[আরও পড়ুন: দোকানে থাকতে হবে মালিকের নাম, এবার কানোয়ার যাত্রার সব রুটেই নির্দেশিকা জারি যোগীর]
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবারই পাটনা এইমস থেকে চার মেডিক্যাল পড়ুয়াকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। কেলেঙ্কারির অন্যতম মাথা পঙ্কজ সিংয়ের হয়ে নিটের প্রশ্নপত্র সমাধান করেছিলেন ধৃত পড়ুয়ারা। অভিযুক্তের মধ্যে তিনজন তৃতীয় বর্ষের ছাত্র এবং একজন দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। ধৃত ওই পড়ুয়ারা কীভাবে কাজ করতেন, কাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন, আর কোনও পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন কি না সব খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাঁদের মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ বাজেয়াপ্ত করেছে সিবিআই। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল আরও একজন। এদিকে নিটের প্রশ্নফাঁস মামলার তদন্তে নেমে এখনও পর্যন্ত ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে সিবিআই।
[আরও পড়ুন: ‘ফ্যাশন প্যারেড চলছে!’ পোশাকবিধি না মানায় আইনজীবীকে ধমক প্রধান বিচারপতির]
এদিকে প্রশ্নফাঁস, বেনিয়ম সংক্রান্ত যাবতীয় অভিযোগের মধ্যেই প্রকাশিত হতে চলেছে ডাক্তারির স্নাতক স্তরের সর্বভারতীয় প্রবেশিকা পরীক্ষার ফল। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী শনিবার দুপুরের মধ্যেই নিটের চূড়ান্ত ফলপ্রকাশ করবে এনটিএ (NTA)। তবে কাউন্সেলিংয়ের দিন ঘোষণার জন্য শীর্ষ আদালতের অনুমতি নিতে হবে। উল্লেখ্য, গত ৫ মে NEET-UG পরীক্ষা হয়। প্রাথমিক ফলপ্রকাশের পরে দেখা যায়, প্রথম স্থান অধিকার করেছে ৬৭ জন। এর পর থেকে এই প্রবেশিকা পরীক্ষা নিয়ে উঠেছে বিস্তর অভিযোগ। পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগের পাশাপাশি অনেককে গ্রেস মার্কস দেওয়ারও অভিযোগ তোলেন পরীক্ষার্থীরা। পরে গ্রেস মার্কস দেওয়ার ব্যাপারটি স্বীকার করে নেয় পরীক্ষার নিয়ামক সংস্থা ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি। নেওয়া হয় রি-টেস্ট। যার জেরে চূড়ান্ত ফলপ্রকাশ হয়নি। অবশেষে শনিবার হতে চলেছে ফলপ্রকাশ।