সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নেপালে (Nepal) তুঙ্গে রাজনৈতিক অস্থিরতা। অন্য মাত্রা পেয়েছে শাসকদল নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির অভ্যন্তরীণ কলহ। প্রচণ্ড বনাম ওলি সংঘাতে রীতিমতো বিপর্যস্ত সরকারি কাজ। এহেন পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ক্ষমতা ত্যাগ করতে নারাজ ‘কেয়ার টেকার’ প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি। বুধবার জানিয়েছেন তাঁর এক ঘনিষ্ট।
[আরও পড়ুন: নাবালিকাকে বিয়ে করে বিতর্কে বছর ষাটেকের পাক সাংসদ! শুরু তদন্ত]
উল্লেখ্য, গত ২০ ডিসেম্বর জরুরি বৈঠক ডেকে সরকার ভেঙে দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেন কেপি শর্মা ওলির মন্ত্রিসভার সদস্যরা। সাত জন মন্ত্রী পদত্যাগ করার সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্রপতি বিদ্যাদেবী ভাণ্ডারি (Bidya Devi Bhandari)’র কাছে সংসদ ভেঙে দেওয়ার সুপারিশ করেন প্রধানমন্ত্রী ওলি। এরপরই তাতে সায় দিয়ে সংসদ ভেঙে আগামী নির্বাচনের দিন ঘোষণা করা হয় নেপালের রাষ্ট্রপতি বিদ্যাদেবী ভাণ্ডারির অফিস থেকে। তারপরই সুপ্রিম কোর্টে জাতীয় সংসদ খারিজের জন্য জারি করা বিজ্ঞপ্তির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে হলফনামা জমা দেন বর্ষীয়ান আইনজীবী কৃষ্ণ প্রসাদ ভাণ্ডারি। এরপরই একটি জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে সুপ্রিম কোর্টে চলা এই সংক্রান্ত মামলাকে নাটক বলে কটাক্ষ করেন নেপালের কেয়ারটেকার প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি (K P Sharma Oli)।
এহেন পরিস্থিতিতে গত মঙ্গলবার সংসদের নিম্নকক্ষ ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্তকে ‘অসাংবিধানিক’ হিসেবে রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। একইসঙ্গে সংসদের নিম্নকক্ষ পুনরায় চালু করার নির্দেশও দিয়েছে আদালত। ঐতিহাসিক রায়ে প্রধান বিচারপতি চোলেন্দ্র শুমশেরের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, আগামী ১৩ দিনের মধ্যে সংসদের অধিবেশন ডাকতে হবে। যা ওলিকে প্রধানমন্ত্রীর আসন থেকে সরিয়ে দেওয়ার পথ প্রশস্ত করেছে বলে মত সংশ্লিষ্ট মহলের।
এদিকে, আদালতের রায়ে ধাক্কা খেলেও ইস্তফা দেবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ওলি। পালটা আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে সংসদে আস্থাভোটের সম্মুখীন হবেন তিনি। ইতিমধ্যে সমর্থন জোটাতে দলের অনেকের সঙ্গে গোপনে আলোচনা চালাচ্ছে ওলি শিবির বলে খবর। তবে তাঁর প্রধান প্রতিপক্ষ তথা নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির চেয়ারম্যান পুষ্পকমল দহল ওরফে প্রচণ্ড ওলির পদ ছিনিয়ে নিতে মরিয়া।