সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দলের নাম রাষ্ট্রীয় প্রজাতন্ত্র পার্টি (RPP)। কিন্তু, দেশে রাজতন্ত্র ফেরানোর দাবিতে তাদের আন্দোলনের জেরে নাভিশ্বাস উঠেছে নেপাল প্রশাসনের। বিভিন্ন জায়গায় শুরু হওয়া বিক্ষোভ সামাল দিতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন সরকারি নিরাপত্তারক্ষীরা। একেই প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির সুপারিশ মেনে নেপালের রাষ্ট্রপতি বিদ্যাদেবী ভাণ্ডারি সরকার ভেঙে দেওয়ার পর দেশজুড়ে টানাপোড়েন চলছে। তার মধ্যে এই ঘটনায় বিশৃঙ্খলা আরও বেড়ে গিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কিছুদিন ধরেই রাষ্ট্রীয় প্রজাতন্ত্র পার্টির নেতা, কর্মী ও সমর্থকরা রাজতন্ত্র ফেরানো ও নেপালকে হিন্দু রাষ্ট্র করার দাবিতে আন্দোলন করছেন। শুক্রবারও নেপালের রাজধানী কাঠমাণ্ডুর প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত রত্নাপার্কে (Ratna park) একটি জনসভা করেন রাষ্ট্রীয় প্রজাতন্ত্র পার্টির নেতারা। কাঠমাণ্ডুর ভিড়কুটিমণ্ডপ এলাকা থেকে কয়েক হাজার মানুষ ওই পার্ক পর্যন্ত রাজতন্ত্র (monarchy) ও হিন্দু রাষ্ট্রের তকমা ফেরানোর দাবিতে স্লোগান দিতে দিতে মিছিল করেন। তাঁদের অনেককেই বলতে শোনা যাচ্ছিল, প্রাণ দেব। তবু হিন্দু রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে লড়াই চালিয়ে যাব। আরপিপির এই কর্মসূচির জন্য যানজট তৈরি হয়েছিল কাঠমাণ্ডুর বেশ কিছু জায়গায়।
[আরও পড়ুন: ফের আফগানিস্তানে আততায়ীদের গুলিতে খুন সাংবাদিক! গত দু’মাসে পাঁচজনের মৃত্যু]
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে আরপিপির চেয়ারম্যান কমল থাপা ও পশুপতি শামশের রানা প্রধানমন্ত্রী ওলি যেভাবে সরকার ভেঙেছেন তার তীব্র সমালোচনা করেন। নেপালকে পুনরায় হিন্দু রাষ্ট্র ঘোষণা করা না হলে এবং সাংবিধানিক রাজতন্ত্র ফেরানো না হলে দেশ রক্ষা করা যাবে না বলেও দাবি করেন। এছাড়া দেশের গণতান্ত্রিক পরিবেশ ও রাজনৈতিক স্থিতাবস্থা বজায় রাখা সম্ভব নয় বলেই তাঁরা মতপ্রকাশ করেন।
রাজতন্ত্রের দাবিতে শুরু হওয়া এই আন্দোলনের পিছনে ওলির কারসাজি রয়েছে বলেই দাবি করেছেন তাঁর বিরোধীরা। তাঁদের অভিযোগ, এভাবেই বিশৃঙ্খলা তৈরি করে নিজেকে সর্বশক্তিমান করতে চাইছেন ওলি।