সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারত-সহ ১১টি দেশ থেকে রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করেছে নেপাল। বৃহস্পতিবার নেপাল সরকারের তরফে এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দাহাল ওরফে প্রচণ্ড-র ভারত সফরের আগেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে।
রবিবার এনডিএ জোট শরিকদের সঙ্গে নিয়ে তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেবেন নরেন্দ্র মোদি। সেই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা বিভিন্ন রাষ্ট্রনেতাদের। সেই তালিকায় রয়েছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী প্রচণ্ড-ও। কিন্তু, তার আগেই বড় পদক্ষেপ করল নেপাল সরকার। বেশ কয়েকটি দেশ থেকে রাষ্ট্রদূতদের ফিরিয়ে নিল প্রতিবেশি দেশটি। আর সেই তালিকায় রয়েছে ভারত। এদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ছিলেন ড. শংকর শর্মা। ফলে তাঁর মেয়াদ ফুরোল। তাঁর জায়গায় কে আসছেন তা এখনও জানা যায়নি।
[আরও পড়ুন: মোদির অভিষেকে থাকবেন ‘চিনপন্থী’ মুইজ্জু! আসছেন মালদ্বীপের ৩ মন্ত্রীও]
হঠাৎ কেন এহেন সিদ্ধান্ত নেপালের? বিগত কয়েক বছর ধরেই নেপালে রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে। গত মার্চ মাসে পাহাড়ি দেশটির সংসদে বৃহত্তম রাজনৈতিক দল নেপালি কংগ্রেসের সঙ্গে জোট ভেঙে দেয় প্রচণ্ডর দল কমিউনিস্ট পার্টি অফ নেপাল (মাওইস্ট সেন্টার)। শুধু তাই নয় প্রতিদ্বন্দ্বী কেপি শর্মা ওলির নেপালি কমিউনিস্ট পার্টি (ইউনিফায়েড মার্কসিস্ট লেনিনিস্ট)-এর সঙ্গে জোট সরকার গড়ে প্রচণ্ডর দল। একক দল হিসাবে বেশি সংখ্যক সাংসদ নিয়েও বিরোধী শিবিরে বসতে বাধ্য হয় শেরবাহদুর দেউবার নেপালি কংগ্রেস। এবার দেউবা সরকারের নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতদের ডেকে পাঠাচ্ছে কাঠমান্ডু। এর বদলে প্রচণ্ড ও ওলির পছন্দের ব্যক্তিদের রাষ্ট্রদূত হিসাবে নিয়োগ করা হতে পারে।
এই বিষয়ে নেপালের এক মন্ত্রী সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, উপপ্রধানমন্ত্রী ও বিদেশমন্ত্রী নারায়ণ শ্রেষ্ঠা নেপালি কংগ্রেস এবং অন্যান্য দলের কোটা থেকে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতদের প্রত্যাহার করার প্রস্তাবের তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন। তাঁর বক্তব্য ছিল, এরকম সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক মহলে প্রভাব ফেলতে পারে। কিন্তু, মন্ত্রীর তীব্র আপত্তি সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী দাহাল এবং সিপিএন-ইউএমএল সভাপতি কে পি শর্মা ওলি রাষ্ট্রদূতদের ফিরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যে ১১টি দেশ থেকে রাষ্ট্রদূতদের ফিরিয়ে নেওয়া হচ্ছে তার মধ্যে ভারত ছাড়াও রয়েছে আমেরিকা, ব্রিটেন, উত্তর কোরিয়া, কাতার, স্পেন, ডেনমার্ক, ইজরায়েল, সৌদি আরব, মালয়েশিয়া ও পর্তুগাল।