সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নেপালে (Nepal) তুঙ্গে রাজনৈতিক টানাপোড়েন। সোমবার সংসদ ভাঙার সিদ্ধান্ত খারিজ করে নেপালি কংগ্রেসের সভাপতি শের বাহাদুর দেউবাকে প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগ করে সে দেশের সুপ্রিম কোর্ট। তারপরই গোটা দেশজুড়ে তুমুল বিক্ষোভ শুরু করেছেন নেপালের বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলির সমর্থকরা।
[আরও পড়ুন: জামিন পেলেন ‘হীরক রাজা’ মেহুল চোকসি, ফেরত যাবেন অ্যান্টিগায়]
জানা গিয়েছে, সুপ্রিম নির্দেশের পর আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন দেউবা। কিন্তু সেই পথে যে মোটেও মসৃণ হবে না, তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। রাজধানী কাঠমান্ডু-সহ পাহাড়ি দেশটির অকাধিক শহরে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছে ওলিপন্থীরা। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মানবেন না বলে সাফ জানিয়েছেন প্রতিবাদীরা। কোনওভাবেই দেশের প্রধানমন্ত্রী পদে দেউবাকে বসতে দেওয়া হবে না বলেও হুমকি দিয়েছেন নেপাল কমিউনিস্ট পার্টি’র (ওলি) সমর্থকরা। বলে রাখা ভাল, দলীয় কোন্দল থেকে তৈরি রাজনৈতিক অস্থিরতার জেরে ভেঙে দেওয়া হয়েছিল সংসদ তথা মন্ত্রিসভা। পদত্যাগ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। তবে কেয়ারটেকার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কাজ করছেন তিনি। তবে দেশে পুনর্নিবাচনের দাবিও জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেই দাবির পালটা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিরোধীরা। তাঁদের দাবিকে মান্যতা দিয়েই এদিন শের বাহাদুর দেউবাকে প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগের নির্দেশ দেয় নেপালের সুপ্রিম কোর্ট।
উল্লেখ্য, এদিন নেপালের সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি চোলেন্দ্র সামসের রানার নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ গত সপ্তাহেই বিরোধীদের আবেদনের শুনানি শেষ করেন। অবশেষে সোমবার রায় ঘোষণা করলেন বিচারপতিরা। রাষ্ট্রপতি বিদ্যাদেবী ভান্ডারিকে দু’দিনের মধ্যে নিয়োগপ্রক্রিয়া শেষের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই আদালতের এই নির্দেশে নাখুশ নেপালে প্রাক্তন ক্ষমতাসীন দল CPN-UML। নেপালের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী তথা CPN-UML-এর মুখপাত্র প্রদীপ গয়াওয়ালি বলেন, “ভ্রান্ত রায়। তবে এ রায় মানতে আমরা বাধ্য।”