সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মার সুপারিশ মেনে নেপালের জাতীয় সংসদ ভেঙে দিলেন রাষ্ট্রপতি বিদ্যাদেবী ভাণ্ডারি। ঘোষণা করলেন পরবর্তী নির্বাচনের দিনও। এরপরই সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন বিরোধীরা।
কিছুদিন ধরেই রাজনৈতিক ডামাডোল চলছিল নেপালে। এর জেরে রবিবার সকালেই জরুরি বৈঠক ডেকে সরকার ভেঙে দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেন কেপি শর্মা ওলির মন্ত্রিসভার সদস্যরা। সাত জন মন্ত্রী পদত্যাগ করার সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্রপতি বিদ্যাদেবী ভাণ্ডারি (Bidya Devi Bhandari)’র কাছে সংসদ ভেঙে দেওয়ার সুপারিশ করেন প্রধানমন্ত্রী ওলি। এরপরই তাতে সায় দিয়ে সংসদ ভেঙে আগামী নির্বাচনের দিন ঘোষণা করা হয় নেপালের রাষ্ট্রপতি বিদ্যাদেবী ভাণ্ডারির অফিস থেকে। জানানো হয়, আগামী সাধারণ নির্বাচন ২০২২ সালে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তা ২০২১ সালে করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ২০২১ সালের ৩০ এপ্রিল ও ১০ মে দু’দফায় ওই ভোটগ্রহণ হবে।
[আরও পড়ুন: লাদাখে উত্তেজনার মধ্যেই ভারত-চিন সীমান্তে নয়া কমান্ডার নিয়োগ বেজিংয়ের ]
রাষ্ট্রপতির এই সিদ্ধান্তের পরেই সমস্ত বিরোধী দলের পাশাপাশি প্রতিবাদ জানিয়েছে নেপালের শাসকদল কমিউনিস্ট পার্টিও। এপ্রসঙ্গে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বিষ্ণু রাইজাল (Bishnu Rijal) বলেন, ‘সংসদীয় দলের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় কমিটি ও সম্পাদক মণ্ডলীর ভিতরেও নিজের জায়গা হারিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাই এই ধরনের অবিবেচক কাজ করে দেশের মানুষের অর্থ অপচয়ের বন্দোবস্ত করেছেন। আসলে নেপালে বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করে নিজেকে সর্বশক্তিমান বানাতে চাইছেন।’