অর্ণব দাস, বারাকপুর: পানিহাটির (Panihati) কাউন্সিলর খুনে প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ধৃত ২ জনকে দফায় দফায় জেরার পর জানা গেল, কাউন্সিলর অনুপম দত্ত খুনের জন্য অস্ত্র আনা হয়েছিল বিহারের মুঙ্গের থেকে। এদিকে আজ অর্থাৎ বুধবার মৃত কাউন্সিলরের পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Farihad Hakim)।
পানিহাটি পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অনুপম দত্ত খুনের ঘটনায় তোলপাড় বাংলা। ঘটনার কয়েকঘণ্টার মধ্যেই গ্রেপ্তার হয় শুটার। তার মোবাইলের সূত্র ধরেই আগরপাড়ার বাসিন্দা বাপি ওরফে সঞ্জীব পণ্ডিতের নাম জানতে পারে পুলিশ। মঙ্গলবার তাকে বর্ধমানের কালনা থেকে নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। শুটার অমিত ও সঞ্জীব সম্পর্কে আত্মীয়। ধৃত দু’জনকে জেরা করে বহু তথ্য পেয়েছে পুলিশ। যদিও তদন্তের স্বার্থে তার সবটা প্রকাশ্যে আনেনি তদন্তকারীরা। তবে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, অনুপমকে খুনের জন্য তিন থেকে চার লক্ষ টাকা সুপারি দেওয়া হয়েছিল। যদিও কে দিয়েছিল, তা এখনও ধোঁয়াশা।
[আরও পড়ুন: ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ ছবির ভূয়সী প্রশংসায় মোদি, বার্তা পেয়েই হলমুখী বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব]
এদিকে মঙ্গলবার রাতে অনুপম দত্তের স্ত্রী মিনাক্ষীকে ফোন করেছেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। খোঁজ খবর নেওয়ার পাশাপাশি পাশে থাকার আশ্বাসও দিয়েছেন। আজ মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে আগরপাড়া যাবেন ফিরহাদ। আজই পানিহাটি পুরসভার কাউন্সিলরদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান। সেখানে থাকার কথা ছিল অনুপম দত্তেরও। কিন্তু ভাগ্যের ফেরে শপথ নিতে পারবেন না তিনি। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বিষন্নতা গ্রাস করেছে তাঁর সতীর্থদের।
অন্যদিকে, মঙ্গলবার স্বামীর খুনের প্রতিবাদ মিছিল থেকে তৃণমূলের হয়ে কাজ করার ইঙ্গিত দিয়েছেন স্ত্রী মীনাক্ষী দত্ত। তিনি এদিন বলেন, “আগরপাড়াবাসীদের জন্য আমি এই হাঁটা শুরু করলাম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতদিন আমাকে সঙ্গে রাখবে আমি ততদিন এই পথে হাঁটবো। সরকারের প্রতি, পুলিশ প্রশাসনের প্রতি আমার আস্থা রয়েছে। দোষীদের চরম শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে একটাই অনুরোধ উনি যেন আমার সঙ্গে একবার দেখা করেন।”