শাহজাদ হোসেন ও ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটে চমক দিতে নিজের রাজনৈতিক দল 'জনতা উন্নয়ন পার্টি' তৈরি করেছেন অন্যতম বিতর্কিত, তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত নেতা, বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। তাঁর দাবি, নওশাদ সিদ্দিকিদের আইএসএফ এবং আসাদউদ্দিন ওয়েইসির মিমের সঙ্গে জোট করে লড়বেন। হুমায়ুনের পৃথক রাজনৈতিক দল নিয়ে সেভাবে কোনও মন্তব্য করতে না চাইলেও ছাব্বিশের লড়াই নিয়ে ভরতপুরের বিধায়কের চ্যালেঞ্জকে রীতিমতো কটাক্ষ করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর মন্তব্য, ''উনি আগে বাবরি মসজিদ করুন। উনি তো বিজেপির প্রার্থী ছিলেন। ২৭ বছর পর আবার সেই ইস্যু? আগে যখন বিজেপিতে গিয়েছিলেন, মনে ছিল না?''
শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে হুমায়ুন কবীর জানিয়েছেন, ''তৃণমূল কংগ্রেসকে হারাতে চাই, বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে দূরে রাখতে চাই। তেমন মনোভাবাপন্ন দলগুলি নিয়ে আমি জোট করতে আগ্রহী। আইএসএফ ও মিম আসলে বাংলা রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ করে দেখাব। আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে রাজ্যের ১৮২ টি আসনে কার সঙ্গে জোট করে কে, কোন আসনে প্রার্থী হবে, তা চূড়ান্ত করা হবে।'' তিনি আরও জানান, বামপন্থী দলগুলিকে জোটে শামিল করতে আগ্রহী। তবে এর জন্য বামপন্থীদের থেকে কিছু শর্ত দেওয়া হয়, সেটা ভেবে দেখার আশ্বাস দেন। কিন্তু কংগ্রেসের সঙ্গে জোট চান না, তাও স্পষ্ট করেছেন হুমায়ুন। ৩১ জানুয়ারি, ২০২৬-এএর মধ্যে রাজ্যের সমস্ত জেলা ও ব্লক কমিটি গঠন প্রক্রিয়া শেষ করা হবে দলের।
ফেব্রুয়ারি থেকে হেলিকপ্টার নিয়ে সারা রাজ্যে প্রচার চালানোর কথা বলেন হুমায়ুন। তাঁর কথায়, ''জোটের প্রার্থীদের হয়েও আমি হেলিকপ্টারে প্রচারে যাব। রাজ্যের কোনও আসন থেকে শিক্ষাবিদ কামাল হোসেনকে প্রার্থী করব। প্রয়োজন হলে বসিরহাট থেকে প্রাক্তন সাংসদ নুসরতকে দাঁড় করাব।"
হুমায়ুনের এসব রাজনৈতিক কার্যকলাপ নিয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ''সবাই আলাদাভাবে রাজনীতি করতে পারে। প্রত্যেকের সেই অধিকার আছে। আপনার যদি মনে হয় আপনি নেতা, তাহলে করুন যা খুশি। আপনার যদি মনে হয়, তৃণমূলকে হারাতে পারবেন, চেষ্টা করুন। মানুষ খুব বুদ্ধিমান। সব বোঝে। আগে বাবরি মসজিদ করুন। বিজেপির প্রার্থী ছিলেন। ২৭ বছর পর আবার সেই ইস্যু? আগে যখন বিজেপিতে গেছিলেন মনে ছিল না? রাজনৈতিক একজন নেতার মন্দির, মসজিদ বানানো আর তার উপর রাজনীতি করা - এটা ঠিক না।''
