সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাইবার প্রতারণা রুখতে কড়া পদক্ষেপ কেন্দ্রের। ডিলারদের সিম কার্ড কেনা-বেচার ক্ষেত্রে এবার একাধিক নিয়ম লাগু করা হচ্ছে। পাশাপাশি নতুন সিম কেনার সময় ভেরিফিকেশন আবশ্যিক বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
নয়া নিয়ম ঘোষণার সময় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানান, প্রতারণার ফাঁদ পাতা হয়েছিল, এমন সন্দেহে ইতিমধ্যেই ৫২ লক্ষেরও বেশি সিম কার্ড (Sim Card) ডিঅ্যাকটিভেট করে দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে। কার্যত ভেরিফিকেশন ছাড়াই সিম বিক্রি করার অভিযোগে ৬৭ হাজারের বেশি বিক্রেতাকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। সাইবার প্রতারণা সংক্রান্ত মোট ৩০০টি এফআইআর দায়ের হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, গত মে মাসে সিম কার্ড সংক্রান্ত একটি নিয়ম আনা হয়েছিল। এবার আরও দু’টি নিয়মে বদল ঘটানো হচ্ছে। সাইবার প্রতারণা থেকে ইউজারদের সুরক্ষিত রাখতেই এই উদ্যোগ।
[আরও পড়ুন: বাস্তবের ‘বব বিশ্বাস’, বাড়ির দরজা খুলতেই বিহারের সাংবাদিককে গুলি দুষ্কৃতীদের]
নয়া নিয়মে কী কী রয়েছে?
- যাঁরা একসঙ্গে অনেক সিম কার্ড কেনেন, সেই ভেন্ডারদের এবার থেকে প্রতিটি সিমের ক্ষেত্রেই পুলিশ ও বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন করতে হবে। পাশাপাশি সিমগুলির রেজিস্ট্রেশন থাকাও আবশ্যক। এই নিয়ম না মানলে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।
- বিক্রেতাদের কাছে ইতিমধ্যেই যে সিম কার্ডগুলি রয়েছে, ১২ মাসের মধ্যে সেগুলির রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। কোনও সিম কার্ড ভুয়ো কি না কিংবা সেগুলিকে ব্ল্যাকলিস্ট করা দরকার কি না, এই রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমেই তা পরিষ্কার হয়ে যাবে।
- কোনও গ্রাহক নতুন সিম কার্ড কিনতে চাইলে কিংবা পুরনো মোবাইল নম্বরের জন্য নতুন সিমের দাবি করলে, তাঁর আধার কার্ডের তথ্য QR স্ক্যান করে রাখতে হবে ক্রেতাকে। সেটিই KYC হিসেবে সঞ্চিত থাকবে।
- এক ক্রেতাকে একসঙ্গে একগুচ্ছ সিম কার্ড আর বিক্রি করা যাবে না। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, একজন গ্রাহক সঠিক পরিচয়পত্র দেখিয়ে সর্বোচ্চ ন’টি সিম কার্ড নিতে পারবেন।