সুব্রত বিশ্বাস: হাওড়া স্টেশনে ভিড়ের চাপে অপরাধ বাড়ছে। এই ভিড় নিয়ন্ত্রণে ‘নয়া উপায়’ শুরু করতে চলেছে আরপিএফ। ভিড়ের চাপে নজরদারির সুবিধায় এবার লোকাল ট্রেনে যাত্রীদের ওঠানামার উপর বিশেষ কিছু পদ্ধতি মানতে হবে। এজন্য হাওড়া স্টেশনে শুরু হতে চলেছে বেশ কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা। ৪-৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ইতিমধ্যে হলুদ রং দিয়ে বিশেষ 'নির্দেশিকা' আঁকাও হয়েছে।
হাওড়া স্টেশনের স্টেশন ম্যানেজার রাজেশ কুমার বলেন, "লোকাল ট্রেনে প্রচণ্ড ভিড় হয়। এক্ষেত্রে তাদের নামাওঠার উপর বিশেষ কিছু নিয়ন্ত্রণ আনতে চলেছে আরপিএফ। এজন্য দুটি প্ল্যাটফর্মে লোকাল ট্রেনের গেটগুলি যেখানে পড়বে, সেই সম্ভাব্য স্থানগুলিতে নির্দেশিকা লাইন টানা হয়েছে। যাতে স্পষ্ট করা হয়েছে, লোকাল ট্রেনের গেটে যে রড থাকে তার বামদিক দিয়ে যাত্রীরা নামবেন। আর ডানদিক দিয়ে উঠবেন। এই নামাওঠার উপর নজর রাখবে আরপিএফ।"
[আরও পড়ুন: হামাস প্রধানকে মারতে ইরানের ‘মির জাফর’দের নিয়োগ করে মোসাদ!]
পূর্ব রেলের আরপিএফ বিভাগ জানিয়েছে, লোকালগুলিতে এমনিতেই ভিড়ের চাপ অত্যাধিক। এই চাপের মধ্যে অন্তিম স্টেশন হাওড়ায় ওঠানামাতে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। ফলে যাত্রী জটের সৃষ্টি হয়। এর মধ্যে চুরি ছিনতাই ও নানা অপরাধ সংগঠিত হয়। বিশেষ করে মোবাইল ছিনতাই অত্যাধিক পরিমানে হয়। নামাওঠার ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট লাইন নিয়ন্ত্রণ করলে এই ধরণের অপরাধ ঠেকানো সম্ভব হবে। আগামী দিনে স্টেশনের অ্যাড্রেস সিস্টেমেও এই ওঠানামা নিয়ে ঘোষণা শুরু করতে চলেছে রেল বলে আরপিএফ সূত্রে খবর।
যদিও যাত্রীদের একাংশ এই পদ্ধতি ভিড়ে মানা সম্ভব নয় বলে মনে করেছেন। তাদের কথায়, এত অতিরিক্ত ভিড়ের মধ্যে ট্রেন এলে যাত্রীরা এই নিয়ন্ত্রণ মেনে চলতে পারবেন না। ফলে ঝামেলা বাড়বে। তবে আরপিএফ পরীক্ষামূলকভাবে এই কাজ শুরু করতে চলেছে। সফল হলে প্রতিটা স্টেশনেই এই পদ্ধতি চালু করবে রেল বলে জানিয়েছে।