সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা (Covid-19) আবহেই দেশে চলছে বিয়ের মরশুম। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠান সম্পন্ন হলেও, মাঝেমধ্যেই সামনে আসে আজব সমস্ত ঘটনা। এবার সেরকমই একটি ঘটনা ঘটল মধ্যপ্রদেশের ভিন্দের ঘোরমি এলাকায়। যেখানে বিয়ের প্রথম রাতেই ছাদ থেকে লাফ দিয়ে পালিয়ে গেল নববধূ। হ্যাঁ, একেবারে ভাইরাল সেই ‘টুম্পা সোনা’ গানটির মতোই। শুধু তাই নয়, পালিয়ে যাওয়ার সময় বিয়ের সময় পাওয়া ৯০ হাজার টাকাও হাতিয়ে নিয়ে চলে যায় সে। শেষপর্যন্ত থানায় গিয়ে বর অভিযোগ দায়ের করার পরই গোটা ঘটনাটি সামনে আসে। ইতিমধ্যে ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচজনের নাম দায়ের হয়েছে। তার মধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তারও করেছে পুলিশ।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, অভিযোগকারী যুবক সোনু জৈনের দীর্ঘদিন বিয়ে হচ্ছিল না। মনমতো পাত্রী পাচ্ছিলেন না তিনি। এর মধ্যেই উদল খাটিক নামে গ্বালিয়রের এক ব্যক্তির সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। ওই ব্যক্তি সোনুকে পাত্রী খুঁজে দেওয়ার ব্যাপারে আশ্বাস দেন। বদলে জানায় তাঁকে ১ লক্ষ টাকা দিতে হবে। শেষপর্যন্ত ৯০ হাজার টাকার বিনিময়ে রাজিও হয়ে যায় সোনু। এরপরই সোনুর সঙ্গে অনিতা রত্নাকর নামে এক মহিলার সঙ্গে পরিচয় করান। সঙ্গে অরুণ খাটিক এবং জিতেন্দ্র রত্নাকর নামে আরও দু’জনেরও পরিচয় করিয়ে দেন। শেষপর্যন্ত যাবতীয় কথাবার্তার পর বিয়েতে রাজি হয়ে যান সোনু। সেসময় তাঁর পরিবারের লোকজনও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
[আরও পড়ুন: পাক সমর্থকের ভাইরাল ছবিটি মনে আছে? এবার তিনি ঠাঁই পেলেন হংকংয়ের মিউজিয়ামে!]
এদিকে নির্দিষ্ট দিনে দু’জনের বিয়েও হয়। নববধূকে আশীর্বাদ করেন সোনুর মা-বাবা এবং পরিবারের অন্যান্য লোকজন। সবকিছু বেশ ঠিকঠাক ভাবেই চলছিল। কিন্তু আসল ঘটনাটি ঘটে রাতের বেলা, সবাই ঘুমিয়ে যাওয়ার পর। এই সময় অনিতা হঠাৎ করেই জানায়, তার শরীর খারাপ লাগছে। এই কথা বলে ছাদেও চলে যায় সে। পরবর্তীতে সোনুর বাড়ির কারওর নজরে আসে নববধূ বাড়িতে নেই। এরপরই খোঁজ শুরু হয়ে যায় চারিদিকে। কিন্তু কেউই তাকে খুঁজে পায়নি। আসলে ছাদ থেকেই নিচে নেমে পালিয়ে গিয়েছিল অনিতা। যদিও শেষরক্ষা হয়নি। শেষপর্যন্ত পুলিশের জালে ধরা পড়ে যায় অনিতা। এরপরই থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন সোনু। তারপরই পাঁচজনের নামে অভিযোগ দায়ের হয়।